
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই, ১ মার্চ থেকে সৌদি আরব এবং আমিরাতে রমজান শুরু হচ্ছে।
সৌদি আরবের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত প্রস্তুতির মধ্যে দুটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, সুদাইর এবং তুমাইর, উল্লেখযোগ্য। সুদাইর কেন্দ্রে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার থাকলেও তুমাইর কেন্দ্রে মেঘলা আকাশের কারণে চাঁদ দেখার প্রচেষ্টা কষ্টকর ছিল। তবে, সুদাইর কেন্দ্রের স্থানীয় সময় ৫টা ৪৫ মিনিটে চাঁদের অনুসন্ধান শুরু হয় এবং ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে জানানো হয় যে, পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সূর্য অস্ত গেলেও চাঁদ দেখা যায়নি। তবে, ৫টা ৫৭ মিনিটে তাদের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে চাঁদ দেখতে পাওয়ার খবর আসে।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখার প্রক্রিয়ার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে । সাধারণ মানুষকে খালি চোখে অথবা দুরবীন ব্যবহার করে চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়। এটি একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া যেখানে সাধারণ মানুষকেও চাঁদ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাতে সঠিক সময় নির্ধারণ করা যায় এবং ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি সঠিকভাবে পালিত হতে পারে। যদি কেউ চাঁদ দেখতে পায়, তাকে নিকটস্থ কোর্টে জানাতে বলা হয়, যাতে তারা সেই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড করতে পারে এবং বিষয়টি যাচাই করা যায়। এই ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যে, চাঁদ দেখার খবর সঠিকভাবে যাচাই এবং গণনা করা হচ্ছে, যা ইসলামী ক্যালেন্ডারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
রমজান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ছিল বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা চাঁদ দেখে রমজান শুরুর ঘোষণা দেয়। এরপর ইন্দোনেশিয়া থেকেও একই ঘোষণা আসে, যা বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী ব্রুনাই ও মালয়েশিয়ায় চাঁদ দেখা যায়নি, ফলে ওই দেশে ২ মার্চ থেকে রমজান শুরু হবে। ফিলিপাইনও একইভাবে জানায় যে, তাদের দেশে চাঁদ দেখা যায়নি। আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া এবং ইথিওপিয়ায় চাঁদ দেখা গিয়েছিল, এবং তারা রমজান শুরু করার ঘোষণা দেয়। এছাড়া, ফ্রান্সও জানায় যে, আগামী শনিবার থেকে তারা রমজান শুরু করবে। এটি বিশ্বব্যাপী মুসলিম দেশগুলির মধ্যে চাঁদ দেখা এবং রমজান শুরুর সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রচলিত প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ, যেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশের পরিস্থিতি ও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রমজান শুরুর সময় ভিন্ন হতে পারে।