০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চিঠি পাঠিয়েছেন।

২০১৫ সালে ইরান ও ছয়টি বিশ্বের প্রধান শক্তির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যেখানে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল, এবং এর বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল। তবে, ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, যার ফলে ইরান ও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে একটি বৃহত্তর কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়।

এখন, যদি ট্রাম্প নতুন করে আলোচনা শুরু করার উদ্যোগ নেন, এটি তার কূটনৈতিক নীতির একটি বড় পরিবর্তন হতে পারে। চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে তিনি ইরানকে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করছেন, এবং তিনি আশা করছেন যে, ইরান আলোচনায় রাজি হবে। তবে, ইরান তাদের শর্তাবলী রেখেই আলোচনায় বসতে পারে—যেমন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, আঞ্চলিক প্রভাব কমানো এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ।

এটা একটি অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি, কারণ ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব রয়েছে, যা আলোচনা প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলতে পারে। তবে, যদি নতুন আলোচনা শুরু হয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে।

এমন অবস্থায়, এই নতুন আলোচনা যদি শুরু হয়, তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, তা একটি বড় ধরনের পালাবদল হতে পারে। তবে, এটি অত্যন্ত জটিল এবং অস্পষ্ট—ইরান, যা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক খারাপ রেখেছে, একে অপরকে বিশ্বাসের ভিত্তিতে কীভাবে একসাথে বসতে পারে, তা সময়ই বলে দেবে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চিঠি পাঠিয়েছেন।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

২০১৫ সালে ইরান ও ছয়টি বিশ্বের প্রধান শক্তির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যেখানে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল, এবং এর বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল। তবে, ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, যার ফলে ইরান ও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে একটি বৃহত্তর কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়।

এখন, যদি ট্রাম্প নতুন করে আলোচনা শুরু করার উদ্যোগ নেন, এটি তার কূটনৈতিক নীতির একটি বড় পরিবর্তন হতে পারে। চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে তিনি ইরানকে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করছেন, এবং তিনি আশা করছেন যে, ইরান আলোচনায় রাজি হবে। তবে, ইরান তাদের শর্তাবলী রেখেই আলোচনায় বসতে পারে—যেমন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, আঞ্চলিক প্রভাব কমানো এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির নিয়ন্ত্রণ।

এটা একটি অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি, কারণ ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব রয়েছে, যা আলোচনা প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলতে পারে। তবে, যদি নতুন আলোচনা শুরু হয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে।

এমন অবস্থায়, এই নতুন আলোচনা যদি শুরু হয়, তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, তা একটি বড় ধরনের পালাবদল হতে পারে। তবে, এটি অত্যন্ত জটিল এবং অস্পষ্ট—ইরান, যা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক খারাপ রেখেছে, একে অপরকে বিশ্বাসের ভিত্তিতে কীভাবে একসাথে বসতে পারে, তা সময়ই বলে দেবে।