০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাক্তার পদবি ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টের রায়: আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা।

ঢাকা, ১২ মার্চ ২০২৫: আজ (বুধবার) হাইকোর্ট বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের বেঞ্চ এক রায়ে জানিয়েছেন, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তবে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেন, তবে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএফএম সাইফুল করিম জানান, আদালত ২০১৩ সালের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল খারিজ করেছেন। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের রিটের একাংশও খারিজ করেছেন, যেখানে ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ছয় মাসের মধ্যে রিটকারীদের পদবি নির্ধারণ করতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং বিএমডিসিকে বলা হয়েছে।

এছাড়া, আদালত স্পষ্ট করেছে যে, ডিএমএফ ডিগ্রিধারী বা সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা, যারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। আইনটি অনুসারে, এ ধরনের পদবি ব্যবহার করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাক্তার পদবি ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টের রায়: আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা।

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৪৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ঢাকা, ১২ মার্চ ২০২৫: আজ (বুধবার) হাইকোর্ট বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের বেঞ্চ এক রায়ে জানিয়েছেন, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তবে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেন, তবে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএফএম সাইফুল করিম জানান, আদালত ২০১৩ সালের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল খারিজ করেছেন। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের রিটের একাংশও খারিজ করেছেন, যেখানে ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ছয় মাসের মধ্যে রিটকারীদের পদবি নির্ধারণ করতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং বিএমডিসিকে বলা হয়েছে।

এছাড়া, আদালত স্পষ্ট করেছে যে, ডিএমএফ ডিগ্রিধারী বা সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা, যারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। আইনটি অনুসারে, এ ধরনের পদবি ব্যবহার করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।