১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের সঙ্গে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার সামরিক হামলা শুরুর পর, বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এই হামলার পর দীর্ঘ তিন বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। যুদ্ধের ফলে শুধু ইউক্রেন এবং রাশিয়া নয়, বরং সারা বিশ্বের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন একটি স্নায়ু যুদ্ধের সূচনা হয়েছে।

এরপর, কিছু সময় আগে রাশিয়া একটি ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। রাশিয়ার শীর্ষ পররাষ্ট্র নীতি কর্মকর্তা ইউরি উসাকোভ দাবি করেছিলেন, এই যুদ্ধবিরতি কেবল ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য স্বস্তির সুযোগ তৈরি করবে এবং এর ফলে তারা কৌশলগতভাবে লাভবান হবে। তার মতে, এই যুদ্ধবিরতি শুধু একটি বিরাম বা বিশ্রাম হিসাবে কাজ করবে, যা যুদ্ধের মূল সমস্যাগুলির সমাধান করবে না।

তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন পরে এই পরিস্থিতির উপর কথা বলেন এবং ঘোষণা করেন যে, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি। কিন্তু তাদের লক্ষ্য কেবল সাময়িক বিরতি নয়, বরং এটি এমন একটি শান্তিতে পরিণত হওয়া, যা দীর্ঘমেয়াদী এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এই বিরতিকে এমনভাবে এগিয়ে নিতে চায়, যাতে এটি যুদ্ধের আসল কারণগুলো সমাধান করে এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে, রাশিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে, কারণ এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনের সঙ্গে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার সামরিক হামলা শুরুর পর, বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এই হামলার পর দীর্ঘ তিন বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। যুদ্ধের ফলে শুধু ইউক্রেন এবং রাশিয়া নয়, বরং সারা বিশ্বের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন একটি স্নায়ু যুদ্ধের সূচনা হয়েছে।

এরপর, কিছু সময় আগে রাশিয়া একটি ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। রাশিয়ার শীর্ষ পররাষ্ট্র নীতি কর্মকর্তা ইউরি উসাকোভ দাবি করেছিলেন, এই যুদ্ধবিরতি কেবল ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য স্বস্তির সুযোগ তৈরি করবে এবং এর ফলে তারা কৌশলগতভাবে লাভবান হবে। তার মতে, এই যুদ্ধবিরতি শুধু একটি বিরাম বা বিশ্রাম হিসাবে কাজ করবে, যা যুদ্ধের মূল সমস্যাগুলির সমাধান করবে না।

তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন পরে এই পরিস্থিতির উপর কথা বলেন এবং ঘোষণা করেন যে, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি। কিন্তু তাদের লক্ষ্য কেবল সাময়িক বিরতি নয়, বরং এটি এমন একটি শান্তিতে পরিণত হওয়া, যা দীর্ঘমেয়াদী এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এই বিরতিকে এমনভাবে এগিয়ে নিতে চায়, যাতে এটি যুদ্ধের আসল কারণগুলো সমাধান করে এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে, রাশিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে, কারণ এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।