

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ মঙ্গলবার গিনিচ সময় ১৪টার দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে এক ফোনালাপ শুরু হয়, যা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলেছে। হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছেন, “ফোনালাপ চলছে এবং এটি এখনো চলছে।”
সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, এই ফোনালাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা। বিশেষভাবে, ট্রাম্প পুতিনকে ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন, যাতে কিছু ক্ষেত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল এবং যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো পুনর্বিবেচনা করা যায়।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্ভব হয়। তারপর মার্কিনরা রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দিয়েছে, যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনও তা পুরোপুরি মেনে নেননি। তবে ট্রাম্প তার ফোনালাপে পুতিনকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি এই বিষয়ে কাজ করলে পুতিন হয়ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারেন।
পুতিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “যুদ্ধবিরতি হবে মূল সমস্যার সমাধানের ভিত্তিতে। এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন করবে।” তিনি আরো জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিস্তারিত জানতে চান।
এদিকে, ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল ছাড় এবং জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র তাদের স্বার্থ রক্ষা হলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে।
হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো পরবর্তীতে এক্সে আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “আলোচনা চলছে।” তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ফোনালাপের বিষয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করেননি।
এদিকে, ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর জানানো হয় যে, তারা ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে আলোচনা করেছেন।