০৪:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো: ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ ।

ঢাকা, ১৮ মার্চ ২০২৫: সরকার দেশে ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে। এই সুবিধা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা তাজা ফল আমদানিতে বেশি সুবিধা পাবেন। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) আজ রাতেই এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

নতুন নির্দেশনায়, ৫ শতাংশ আগাম কর (ভ্যাট) মওকুফ করা হয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য আরও একটি বড় সুবিধা। এর আগে বিদেশ থেকে ফল আমদানির জন্য ১০ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো, যা এখন কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এছাড়া, যেসব ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে তাজা বা শুকনা কমলালেবু, আঙুর, আপেল, নাশপাতি ও অন্যান্য লেবুজাতীয় ফল। গত জানুয়ারি মাসে বিদেশি ফলের ওপর শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশে বাড়ানো হয়েছিল, যা বাজারে আমদানিকৃত ফলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল।

বর্তমানে, বিদেশি ফলের ওপর শুল্ক-করভারের পরিমাণ ১৩৬ শতাংশের কাছাকাছি, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ২৫% আমদানি শুল্ক
  • ২০% নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক
  • ২৫% সম্পূরক শুল্ক
  • ৫% অগ্রিম কর
  • ১৫% ভ্যাট

এর ফলে, ১০০ টাকার ফল আমদানি করতে হলে মোট ১৩৬ টাকা শুল্ক-কর দিতে হতো। তবে সম্পূরক শুল্ক, আগাম কর এবং অগ্রিম কর কমানোর কারণে এখন ব্যবসায়ীদের জন্য করভার কিছুটা কমবে।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে এবং এই খাতে সরকার রাজস্ব হিসেবে ৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

তাজা ফল আমদানিতে এত বেশি শুল্ক-কর বসানোর কারণে এটি সবচেয়ে বেশি শুল্ক–কর আরোপিত পণ্যগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে গাড়ি ও মদ-সিগারেটের পরই ফলের অবস্থান।

এই নতুন পরিবর্তনগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক এবং স্থানীয় বাজারে ফলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হতে পারে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো: ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঢাকা, ১৮ মার্চ ২০২৫: সরকার দেশে ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে। এই সুবিধা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা তাজা ফল আমদানিতে বেশি সুবিধা পাবেন। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) আজ রাতেই এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

নতুন নির্দেশনায়, ৫ শতাংশ আগাম কর (ভ্যাট) মওকুফ করা হয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য আরও একটি বড় সুবিধা। এর আগে বিদেশ থেকে ফল আমদানির জন্য ১০ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো, যা এখন কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এছাড়া, যেসব ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে তাজা বা শুকনা কমলালেবু, আঙুর, আপেল, নাশপাতি ও অন্যান্য লেবুজাতীয় ফল। গত জানুয়ারি মাসে বিদেশি ফলের ওপর শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশে বাড়ানো হয়েছিল, যা বাজারে আমদানিকৃত ফলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল।

বর্তমানে, বিদেশি ফলের ওপর শুল্ক-করভারের পরিমাণ ১৩৬ শতাংশের কাছাকাছি, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ২৫% আমদানি শুল্ক
  • ২০% নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক
  • ২৫% সম্পূরক শুল্ক
  • ৫% অগ্রিম কর
  • ১৫% ভ্যাট

এর ফলে, ১০০ টাকার ফল আমদানি করতে হলে মোট ১৩৬ টাকা শুল্ক-কর দিতে হতো। তবে সম্পূরক শুল্ক, আগাম কর এবং অগ্রিম কর কমানোর কারণে এখন ব্যবসায়ীদের জন্য করভার কিছুটা কমবে।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে এবং এই খাতে সরকার রাজস্ব হিসেবে ৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

তাজা ফল আমদানিতে এত বেশি শুল্ক-কর বসানোর কারণে এটি সবচেয়ে বেশি শুল্ক–কর আরোপিত পণ্যগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে গাড়ি ও মদ-সিগারেটের পরই ফলের অবস্থান।

এই নতুন পরিবর্তনগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক এবং স্থানীয় বাজারে ফলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হতে পারে।