
ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, গাজা উপত্যকায় তাদের পুনরায় শুরু হওয়া স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে তারা উত্তর-দক্ষিণের প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। এতে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দু’দিনে ১৯০ জন শিশুসহ ৯৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আরও প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যে, হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডস তেল আবিবে রকেট হামলা চালানোর দাবি করেছে। তবে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি প্রোজেক্টাইল আটকানো হয়েছে এবং অন্য দুটি প্রোজেক্টাইল জনবসতিহীন এলাকা লক্ষ্য করে আঘাত করেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
বিগত কয়েক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নতুন বিমান হামলা শুরু করেছে, যা মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর গাজায় কিছুটা শান্তি ছিল, কিন্তু নতুন চুক্তি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ইসরায়েল অতর্কিত হামলা শুরু করেছে।
গাজার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসেইন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিক। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনি।”
এদিকে, ইসরায়েল গাজার প্রধান ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে যাচ্ছে।