ঢাকা: গণমাধ্যম খাতে সংস্কার বিষয়ে কমিশন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দিয়েছে। কমিশনের প্রধান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ আজ (শনিবার) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কামাল আহমেদ জানান, একটি প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবে—এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটি “ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া” নীতির আওতায় রয়েছে। এছাড়া বাসসকে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার সাথে একীভূত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। একইসাথে, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে এবং দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে একটি নতুন জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা গঠন করতে হবে।
সাংবাদিকতা পেশায় প্রবেশের জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হবে। শিক্ষানবিশ হিসেবে এক বছর কাজ করার পর সাংবাদিকরা প্রমোশন পাবেন। এছাড়া, সাংবাদিকদের বেতন বিসিএস ক্যাডারদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। ঢাকায় ‘ঢাকা ভাতা’ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে একটি “সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন” তৈরির প্রস্তাব করেছে। এই আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।
কামাল আহমেদ অভিযোগ করেন, গণমাধ্যম খাতে কালো টাকা ঢুকেছে এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বেশিরভাগ টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০ পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্য হলেও, বাস্তবে মাত্র ৫২টি পত্রিকা প্রকৃতপক্ষে প্রকাশিত হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের প্রতিনিধি অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ এবং অন্যান্য সাংবাদিক ও প্রতিনিধি।