০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে ইস্তাম্বুল মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে বুধবার সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ইমামোগলু, যিনি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত, তার গ্রেপ্তারের পর তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।  ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভকারীরা তার মুক্তি এবং এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবিতে সড়কে নেমে আসেন। তিনদিন ধরে চলা বিক্ষোভকে ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ বলা হচ্ছে।

 প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার সরকার ‘‘ভাঙচুর’’ কিংবা ‘‘রাস্তার সন্ত্রাস’’ সহ্য করবে না। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা জনসাধারণের শৃঙ্খলায় কোনও ব্যাঘাত ঘটাতে দেব না।’’

 বিরোধী দলগুলো ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছে। তারা এরদোয়ানের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই গ্রেপ্তার তুরস্কের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।

শুক্রবার ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও পিপার গ্যাস নিক্ষেপ করে। একই সময়ে ইজমির শহরেও বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

 ইমামোগলু, যিনি তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা, সরকারবিরোধী শক্তির অন্যতম মুখ। তার গ্রেপ্তারের পর সিএইচপি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালানোর আহ্বান জানিয়েছে, যদিও কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্ষোভের সমালোচনা করে বিরোধী দলকে ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও জানান, অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সংঘর্ষে অন্তত ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

আগামীকাল বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর ।

তুরস্কে ইস্তাম্বুল মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে বুধবার সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ইমামোগলু, যিনি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত, তার গ্রেপ্তারের পর তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।  ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভকারীরা তার মুক্তি এবং এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবিতে সড়কে নেমে আসেন। তিনদিন ধরে চলা বিক্ষোভকে ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ বলা হচ্ছে।

 প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার সরকার ‘‘ভাঙচুর’’ কিংবা ‘‘রাস্তার সন্ত্রাস’’ সহ্য করবে না। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা জনসাধারণের শৃঙ্খলায় কোনও ব্যাঘাত ঘটাতে দেব না।’’

 বিরোধী দলগুলো ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছে। তারা এরদোয়ানের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই গ্রেপ্তার তুরস্কের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।

শুক্রবার ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও পিপার গ্যাস নিক্ষেপ করে। একই সময়ে ইজমির শহরেও বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

 ইমামোগলু, যিনি তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা, সরকারবিরোধী শক্তির অন্যতম মুখ। তার গ্রেপ্তারের পর সিএইচপি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালানোর আহ্বান জানিয়েছে, যদিও কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্ষোভের সমালোচনা করে বিরোধী দলকে ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও জানান, অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সংঘর্ষে অন্তত ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।