১০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার পুনর্গঠন, মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলের হুমকি।

গাজার পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসরায়েলের চলমান হামলা ও আক্রমণের ফলে পুরো গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা একটি মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পুনর্গঠন একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজার পুনর্গঠনের কাজ চলাকালে প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ীভাবে সিনাই উপদ্বীপে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে, এই পরিকল্পনা এখনও পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং আরব বিশ্বের নেতারা এতে সহমত প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হবে। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ বাড়ি নির্মাণ এবং একটি বিমানবন্দর স্থাপন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, পুনর্গঠন কাজ শুরু হওয়ার পরেও ইসরায়েল আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সম্প্রতি একটি হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানান, হামাস যদি তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দেয়, তবে গাজায় ইসরায়েলের স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মানে হলো, গাজার উপর ইসরায়েলের শাসন আরও কঠোর হতে পারে, যা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত গাজার জনগণের মানবাধিকার রক্ষা এবং সেখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজার পুনর্গঠন, মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলের হুমকি।

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

গাজার পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসরায়েলের চলমান হামলা ও আক্রমণের ফলে পুরো গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা একটি মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পুনর্গঠন একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজার পুনর্গঠনের কাজ চলাকালে প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ীভাবে সিনাই উপদ্বীপে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে, এই পরিকল্পনা এখনও পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং আরব বিশ্বের নেতারা এতে সহমত প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হবে। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ বাড়ি নির্মাণ এবং একটি বিমানবন্দর স্থাপন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, পুনর্গঠন কাজ শুরু হওয়ার পরেও ইসরায়েল আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সম্প্রতি একটি হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানান, হামাস যদি তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দেয়, তবে গাজায় ইসরায়েলের স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মানে হলো, গাজার উপর ইসরায়েলের শাসন আরও কঠোর হতে পারে, যা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত গাজার জনগণের মানবাধিকার রক্ষা এবং সেখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।