
রবিবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফরটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে এবং এটি একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সফরটি একটি মাইলফলক হবে, যা বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করবে।” তিনি আরও বলেন, “এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-চায়না সম্পর্ক আরও গভীর হবে, এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে।”
প্রধান উপদেষ্টার সফরের বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, সফরের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশ-চায়নার সম্পর্কের উন্নয়ন নয়, বরং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-চায়নার উপকার এবং লাভের পথ তৈরি করা।
স্থানীয় কূটনীতিকদের মতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চীন সফর করবেন। ২৬ মার্চ দুপুরে তিনি চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বোওয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (BFA) সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
সফরের অন্যান্য অংশ হিসেবে, ২৮ মার্চ বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। একই দিন হুয়াই কোম্পানির উচ্চ-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শনও করবেন তিনি।
২৯ মার্চ, চীনের বিখ্যাত পিকিং ইউনিভার্সিটি ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে এবং সেখানে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দেবেন। পরে, চীনের একটি বিমানে ঢাকায় ফিরে আসবেন প্রধান উপদেষ্টা।
চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরটির লক্ষ্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়েও দৃষ্টি রাখা হবে। তবে, চীন এ সফরকে বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ হিসেবে দেখছে।