
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছেন, স্টারলিংক সেবা চালু হলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে জনগণকে তথ্যবন্দী করার সুযোগ আর পাবে না। তিনি বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিসরে একটি বিপ্লব আনবে এবং এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম, দ্বীপাঞ্চল ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত হবে।
ড. ইউনূস জানিয়ে দেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন এবং স্টারলিংকের কার্যক্রম বাংলাদেশে শুরুর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, স্টারলিংক কোম্পানির প্রতিনিধিরা বর্তমানে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। চূড়ান্ত বাণিজ্যিক চুক্তি আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।
ড. ইউনূস আরও বলেন, স্টারলিংক চালু হলে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ, বিশ্বমানের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের তরুণরা যেখানেই থাকুক, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং তাদেরকে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার ‘যুব উদ্যোক্তা নীতি ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে, যার লক্ষ্য হবে তরুণদের ক্ষমতায়ন। এই নীতি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত অগ্রগতির জন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে। এছাড়াও, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
ড. ইউনূসের মতে, স্টারলিংক সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে এবং এটি দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।