১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি জাদুকরী বৃক্ষের গল্প”

জাদুকরী বৃক্ষের গল্প”

একদিন, একটি ছোট মেয়ে, নাম ছিল রিয়া, জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে এক অদ্ভুত বৃক্ষের সামনে এসে দাঁড়াল। বৃক্ষটি এত সুন্দর এবং রহস্যময় ছিল, যেন সে কোনো জাদু করে। বৃক্ষটি রিয়াকে দেখে মিষ্টি একটি হাসি দিলো এবং বলল, “তুমি যেটা চাও, আমি তা দেবে।”

রিয়া অবাক হয়ে বলল, “সত্যিই?” বৃক্ষটি মাথা ঝাঁকাল। প্রথমে রিয়া চাইল নতুন জামা। কিছুক্ষণের মধ্যে, সেই জামাটি তার হাতে চলে এল। এরপর সে আরো কিছু চাইল—একটি নতুন খেলনা, কিছু মিষ্টি খাবার—সবই বৃক্ষটি তাকে দিলো। রিয়া খুশি হয়েছিল, কিন্তু তার মনে আরো ইচ্ছা জন্মাতে শুরু করল।

দিন কয়েক পর, রিয়া ভাবল, “আমি যদি সব কিছু পেতাম? পুরো পৃথিবী আমার হতে পারে!” সে বৃক্ষটির কাছে গিয়ে বলল, “আমি অনেক টাকা, সোনা, এবং অনেক বড় বাড়ি চাই।”

বৃক্ষটি একটু চিন্তা করল, তারপর বলল, “তুমি যে যা চাও, তা দিতাম, কিন্তু তুমি এখন লোভী হয়ে উঠেছ। আমি আর তোমাকে কিছু দিতে পারব না।”

রিয়া হতাশ হয়ে বলল, “কিন্তু আমি তো সব কিছু চাচ্ছি!”

বৃক্ষটি শান্তভাবে বলল, “তুমি যতটা চাও, ততটা পাওয়ার জন্য কিছুটা কৃতজ্ঞতা এবং পরিমিতি দরকার। যখন তুমি শুধু নিজের জন্য সব কিছু চাইবে, তখন কিছুই পাবেনা।”

রিয়া বুঝতে পারল যে, তার লোভ তাকে সত্যিকারের সুখ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। সে আর কিছু চাইল না, এবং ওই বৃক্ষের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, “ধন্যবাদ, বৃক্ষ। আমি এখন বুঝতে পারলাম যে, লোভ কখনো সুখ আনে না, কৃতজ্ঞতা ও শান্তি আনে।”

বৃক্ষটি রিয়ার মাথায় একটি শাখা রাখল, যেন তার জীবনে সত্যিকারের আনন্দ আসে।

শিক্ষা:
সত্যিকারের সুখ কেবলমাত্র পরিমাণে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টির মধ্যে পাওয়া যায়।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদুল ফিতরে লক্ষ শ্রমিকের অবদান উদযাপন, পুরস্কৃত হলেন রুবেল আহমেদ ।

একটি জাদুকরী বৃক্ষের গল্প”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

জাদুকরী বৃক্ষের গল্প”

একদিন, একটি ছোট মেয়ে, নাম ছিল রিয়া, জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে এক অদ্ভুত বৃক্ষের সামনে এসে দাঁড়াল। বৃক্ষটি এত সুন্দর এবং রহস্যময় ছিল, যেন সে কোনো জাদু করে। বৃক্ষটি রিয়াকে দেখে মিষ্টি একটি হাসি দিলো এবং বলল, “তুমি যেটা চাও, আমি তা দেবে।”

রিয়া অবাক হয়ে বলল, “সত্যিই?” বৃক্ষটি মাথা ঝাঁকাল। প্রথমে রিয়া চাইল নতুন জামা। কিছুক্ষণের মধ্যে, সেই জামাটি তার হাতে চলে এল। এরপর সে আরো কিছু চাইল—একটি নতুন খেলনা, কিছু মিষ্টি খাবার—সবই বৃক্ষটি তাকে দিলো। রিয়া খুশি হয়েছিল, কিন্তু তার মনে আরো ইচ্ছা জন্মাতে শুরু করল।

দিন কয়েক পর, রিয়া ভাবল, “আমি যদি সব কিছু পেতাম? পুরো পৃথিবী আমার হতে পারে!” সে বৃক্ষটির কাছে গিয়ে বলল, “আমি অনেক টাকা, সোনা, এবং অনেক বড় বাড়ি চাই।”

বৃক্ষটি একটু চিন্তা করল, তারপর বলল, “তুমি যে যা চাও, তা দিতাম, কিন্তু তুমি এখন লোভী হয়ে উঠেছ। আমি আর তোমাকে কিছু দিতে পারব না।”

রিয়া হতাশ হয়ে বলল, “কিন্তু আমি তো সব কিছু চাচ্ছি!”

বৃক্ষটি শান্তভাবে বলল, “তুমি যতটা চাও, ততটা পাওয়ার জন্য কিছুটা কৃতজ্ঞতা এবং পরিমিতি দরকার। যখন তুমি শুধু নিজের জন্য সব কিছু চাইবে, তখন কিছুই পাবেনা।”

রিয়া বুঝতে পারল যে, তার লোভ তাকে সত্যিকারের সুখ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। সে আর কিছু চাইল না, এবং ওই বৃক্ষের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, “ধন্যবাদ, বৃক্ষ। আমি এখন বুঝতে পারলাম যে, লোভ কখনো সুখ আনে না, কৃতজ্ঞতা ও শান্তি আনে।”

বৃক্ষটি রিয়ার মাথায় একটি শাখা রাখল, যেন তার জীবনে সত্যিকারের আনন্দ আসে।

শিক্ষা:
সত্যিকারের সুখ কেবলমাত্র পরিমাণে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টির মধ্যে পাওয়া যায়।