০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদ উপলক্ষে পাঠিয়েছেন রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদের আগের দুই দিনে (২৫ ও ২৬ মার্চ) মোট ১৯৭ মিলিয়ন (১৯ কোটি ৭০ লাখ) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)। চলতি মার্চ মাসের পাঁচ দিন বাকি থাকতেই এই পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রাপ্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ২৬৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন, যা ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তির রেকর্ড। কিন্তু চলতি মাসের মধ্যেই ওই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, এবং এখন পর্যন্ত মার্চ মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের (৩০০ কোটি ডলার) বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে হুন্ডি ও অন্যান্য অবৈধ অর্থপাচারের চ্যানেলগুলোর ব্যবহার কমেছে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষত, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদের আনন্দের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবারের জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাচ্ছেন।২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১৪৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮.৪ শতাংশ বেশি। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বৈধ পথে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সহায়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই ধারাবাহিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়াতে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

ফেডারেল চুক্তি এবং অনুদান পর্যালোচনার মুখে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদ উপলক্ষে পাঠিয়েছেন রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:২৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদের আগের দুই দিনে (২৫ ও ২৬ মার্চ) মোট ১৯৭ মিলিয়ন (১৯ কোটি ৭০ লাখ) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)। চলতি মার্চ মাসের পাঁচ দিন বাকি থাকতেই এই পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রাপ্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ২৬৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন, যা ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তির রেকর্ড। কিন্তু চলতি মাসের মধ্যেই ওই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, এবং এখন পর্যন্ত মার্চ মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের (৩০০ কোটি ডলার) বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে হুন্ডি ও অন্যান্য অবৈধ অর্থপাচারের চ্যানেলগুলোর ব্যবহার কমেছে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষত, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদের আনন্দের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবারের জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাচ্ছেন।২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১৪৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮.৪ শতাংশ বেশি। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বৈধ পথে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সহায়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই ধারাবাহিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়াতে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।