
মিয়ানমারে আজ শুক্রবার দুপুরে আঘাত হানে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএসজিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, “যে মাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছে, তাতে মিয়ানমারের বিস্তৃত অংশে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং আমরা ধারণা করছি, নিহতের সংখ্যা ১ হাজারেরও বেশি হতে পারে।”
ভূমিকম্পটি মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার গভীরে, ভূপৃষ্ঠের নিচে উৎপত্তি হয়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের পাশাপাশি আরও ৬.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্পও আঘাত হেনেছে।
ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যদিও পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ আশপাশের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এবং ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ভূমিকম্পটি অত্যন্ত বিধ্বংসী ছিল।
এদিকে, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার ইতোমধ্যে রাজধানী নেইপিদোসহ ৬টি শহর ও অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এসব অঞ্চলগুলোর মধ্যে সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, পূর্ব শান এবং রাজধানী নেইপিদো অন্তর্ভুক্ত।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতান সিনাওয়াত্রাও রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে।
ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও, পরিস্থিতি এখনো গুরুতর এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাহিনী, উদ্ধারকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।