০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস”

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। আজ (শুক্রবার) সকালে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস চীনকে বাংলাদেশ ও এর জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন স্বার্থ বিষয়ক আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

এছাড়াও, অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য চীনের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘চীন এই সংকটের সমাধানে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারে, যা সবার জন্য শান্তি এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত করবে।’’

বৈঠক শেষে অধ্যাপক ইউনূস আজ চীনা ব্যবসায়ীদের সাথে একটি ‘বিনিয়োগ সংলাপে’ অংশগ্রহণ করেন, যেখানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ সুযোগ নিয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়াও, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘‘এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

ফেডারেল চুক্তি এবং অনুদান পর্যালোচনার মুখে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

“বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৪১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। আজ (শুক্রবার) সকালে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস চীনকে বাংলাদেশ ও এর জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন স্বার্থ বিষয়ক আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

এছাড়াও, অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য চীনের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘চীন এই সংকটের সমাধানে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারে, যা সবার জন্য শান্তি এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত করবে।’’

বৈঠক শেষে অধ্যাপক ইউনূস আজ চীনা ব্যবসায়ীদের সাথে একটি ‘বিনিয়োগ সংলাপে’ অংশগ্রহণ করেন, যেখানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ সুযোগ নিয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়াও, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘‘এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছে।