০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক ত্রাণ মিশন”

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বিএ) ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে।

এই মানবিক মিশনে তিনটি বাহিনীর উদ্ধার বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদস্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বিএ) ডাক্তার, বেসামরিক চিকিৎসক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন। উদ্ধারকারী ও চিকিৎসকদের মোট সংখ্যা ৫৫ জন, এছাড়াও তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন।

উদ্ধার ও চিকিৎসা দল নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন রেশন, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী, যোগাযোগ সরঞ্জাম, রান্নার সরঞ্জাম ইত্যাদি বহন করেছে। পাশাপাশি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঠানো হয়েছে আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং ১.৫ টন ত্রাণ তাঁবু।

এর আগে, রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম মিশন পরিচালনা করেছিল। সেই মিশনে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসা দল পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাদেশের এই মানবিক উদ্যোগ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী দেশের পাশে দাঁড়ানোর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ত্রাণ কার্যক্রম শুধু মিয়ানমারের জনগণকে সহায়তা প্রদানই নয়, বরং আঞ্চলিক সংহতি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

 

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“ড. ইউনূস ও মোদির বৈঠক: দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত”

“ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক ত্রাণ মিশন”

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:০১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বিএ) ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে।

এই মানবিক মিশনে তিনটি বাহিনীর উদ্ধার বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদস্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বিএ) ডাক্তার, বেসামরিক চিকিৎসক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন। উদ্ধারকারী ও চিকিৎসকদের মোট সংখ্যা ৫৫ জন, এছাড়াও তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন।

উদ্ধার ও চিকিৎসা দল নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন রেশন, স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী, যোগাযোগ সরঞ্জাম, রান্নার সরঞ্জাম ইত্যাদি বহন করেছে। পাশাপাশি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঠানো হয়েছে আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং ১.৫ টন ত্রাণ তাঁবু।

এর আগে, রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম মিশন পরিচালনা করেছিল। সেই মিশনে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসা দল পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাদেশের এই মানবিক উদ্যোগ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী দেশের পাশে দাঁড়ানোর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ত্রাণ কার্যক্রম শুধু মিয়ানমারের জনগণকে সহায়তা প্রদানই নয়, বরং আঞ্চলিক সংহতি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।