০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি।

গাজায় ১৭ মাস ধরে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ এবং মুসলমানদের উপর চলমান হামলার প্রতিক্রিয়ায়, বিশ্ববিখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত আলী আল-কারদাঘি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া জারি করেছেন। তিনি মুসলিম দেশগুলো এবং মুসলিম জনগণের প্রতি গাজার নির্যাতিত জনগণের পক্ষে একতাবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আলী আল-কারদাঘির এই ফতোয়ায় গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম দেশগুলোকে অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকেও এক শক্তিশালী আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এছাড়া, ফতোয়াতে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো ইসলামী আইন এবং মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইসলামিক আইন ও মানবাধিকার আলী আল-কারদাঘি বলেছেন, গাজার মুসলমানদের উপর ইসরায়েলের গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন যে, মুসলিম দেশগুলো যাতে ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি বা সহযোগিতা না করে, এবং যেসব মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

বিশ্বব্যাপী সমর্থন এই ফতোয়াটি একত্রে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন প্রখ্যাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। তারা বলেছেন, মুসলিম বিশ্বকে গাজার মুসলমানদের সাহায্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্বের ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের মধ্যে আলী আল-কারদাঘি একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ইসলামিক স্কলার হিসেবে পরিচিত। তার ফতোয়াটি মুসলিম জনগণের মধ্যে ধর্মীয়ভাবে একটি শক্তিশালী নির্দেশনা প্রদান করে। এটি মুসলিম দেশগুলোর নেতৃত্বকে গাজার অধিকার এবং সুরক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

এমন একটি ফতোয়া আন্তর্জাতিক রাজনীতি, মানবাধিকার এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপক আলোচনা এবং বিশ্লেষণের জন্ম দিতে পারে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আবুধাবিতে সাইকেল ও ই-বাইক অভিযানে ১,০০০ জব্দ।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি।

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:০১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ১৭ মাস ধরে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ এবং মুসলমানদের উপর চলমান হামলার প্রতিক্রিয়ায়, বিশ্ববিখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত আলী আল-কারদাঘি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া জারি করেছেন। তিনি মুসলিম দেশগুলো এবং মুসলিম জনগণের প্রতি গাজার নির্যাতিত জনগণের পক্ষে একতাবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আলী আল-কারদাঘির এই ফতোয়ায় গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম দেশগুলোকে অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকেও এক শক্তিশালী আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এছাড়া, ফতোয়াতে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো ইসলামী আইন এবং মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইসলামিক আইন ও মানবাধিকার আলী আল-কারদাঘি বলেছেন, গাজার মুসলমানদের উপর ইসরায়েলের গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন যে, মুসলিম দেশগুলো যাতে ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি বা সহযোগিতা না করে, এবং যেসব মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

বিশ্বব্যাপী সমর্থন এই ফতোয়াটি একত্রে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন প্রখ্যাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। তারা বলেছেন, মুসলিম বিশ্বকে গাজার মুসলমানদের সাহায্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্বের ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের মধ্যে আলী আল-কারদাঘি একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ইসলামিক স্কলার হিসেবে পরিচিত। তার ফতোয়াটি মুসলিম জনগণের মধ্যে ধর্মীয়ভাবে একটি শক্তিশালী নির্দেশনা প্রদান করে। এটি মুসলিম দেশগুলোর নেতৃত্বকে গাজার অধিকার এবং সুরক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

এমন একটি ফতোয়া আন্তর্জাতিক রাজনীতি, মানবাধিকার এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপক আলোচনা এবং বিশ্লেষণের জন্ম দিতে পারে।