০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাবান্ধায় ঈদের ছুটির পর প্রাণ ফিরেছে, রপ্তানির নতুন দিগন্তে আলু পাঠানো হলো নেপালে ।

 ঈদের ৯ দিনের ছুটির পর প্রাণ ফিরেছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই বন্দরটি দিয়ে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে, এবং বন্দরটি দিয়ে প্রথম দিনেই ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন নিশ্চিত করেছেন, “আজ ১২টি ট্রাকে ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে আজ থেকে বন্দরটির সকল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, আলুগুলো স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে এবং তা নেপালে পাঠানো হয়েছে।

এটি ছিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে রপ্তানি হওয়া অন্যতম বড় চালান। এর আগে ২৫ মার্চ, ঈদের আগের দিন, ২৩১ মেট্রিক টন আলু ১১টি ট্রাকে নেপালে রপ্তানি হয়েছিল। বর্তমানে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৫৮৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান “থিংকস টু সাপ্লাই” এবং “স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ” এই আলু রপ্তানির দায়িত্বে ছিল। এছাড়াও “হুসেন এন্টারপ্রাইজ”, “ক্রসেস এগ্রো” ও “লোয়েড বন্ড লজেস্টিক”সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নেপালে আলু রপ্তানি করছে। আলু রপ্তানির জন্য ব্যবহৃত জাতগুলো হলো “স্টারিজ” এবং “লেডিও রোজেটা”।

বাংলাবান্ধা বন্দরটি শুধু নেপালেই নয়, ভারতেও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখান থেকে পাট, ওষুধ, প্রাণ, ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়। অপরদিকে, আমদানি করা হয় মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা, চিটাগুড় এবং আরও অনেক পণ্য।

এছাড়া, বাংলাবান্ধার রপ্তানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলতে থাকার কারণে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং সীমান্তের দুই পাশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগেরহাটে ‘মাইশা টাওয়ার’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক নারী নিহত ।

বাংলাবান্ধায় ঈদের ছুটির পর প্রাণ ফিরেছে, রপ্তানির নতুন দিগন্তে আলু পাঠানো হলো নেপালে ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৪৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 ঈদের ৯ দিনের ছুটির পর প্রাণ ফিরেছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই বন্দরটি দিয়ে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে, এবং বন্দরটি দিয়ে প্রথম দিনেই ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন নিশ্চিত করেছেন, “আজ ১২টি ট্রাকে ২৫২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে আজ থেকে বন্দরটির সকল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, আলুগুলো স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে এবং তা নেপালে পাঠানো হয়েছে।

এটি ছিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে রপ্তানি হওয়া অন্যতম বড় চালান। এর আগে ২৫ মার্চ, ঈদের আগের দিন, ২৩১ মেট্রিক টন আলু ১১টি ট্রাকে নেপালে রপ্তানি হয়েছিল। বর্তমানে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৫৮৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান “থিংকস টু সাপ্লাই” এবং “স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ” এই আলু রপ্তানির দায়িত্বে ছিল। এছাড়াও “হুসেন এন্টারপ্রাইজ”, “ক্রসেস এগ্রো” ও “লোয়েড বন্ড লজেস্টিক”সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নেপালে আলু রপ্তানি করছে। আলু রপ্তানির জন্য ব্যবহৃত জাতগুলো হলো “স্টারিজ” এবং “লেডিও রোজেটা”।

বাংলাবান্ধা বন্দরটি শুধু নেপালেই নয়, ভারতেও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখান থেকে পাট, ওষুধ, প্রাণ, ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়। অপরদিকে, আমদানি করা হয় মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা, চিটাগুড় এবং আরও অনেক পণ্য।

এছাড়া, বাংলাবান্ধার রপ্তানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলতে থাকার কারণে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং সীমান্তের দুই পাশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে।