
৬ এপ্রিল ২০২৫: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার দুটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ চিঠি দুটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসে (ইউএসটিআর) পাঠানো হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
চিঠি দুটি পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের ব্যবসা ও রপ্তানি সুবিধা বাড়ানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করা। এই চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলির বিস্তারিত তুলে ধরা হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির প্রভাবে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠিটি পাঠাবেন, যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও পরিকল্পনাগুলোর কথা তুলে ধরবেন। অন্যদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন চিঠিটি পাঠাবেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসে, যেখানে বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের জন্য নেয়া পদক্ষেপগুলোর বিবরণ থাকবে।
এই বিষয়ে রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক, ফারুক হাসান, ব্যবসায়ী তপন চৌধুরী, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকারের উদ্যোগে তারা সন্তুষ্ট। তারা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত হবে এবং একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।” ব্যবসায়ীরা আশাবাদী যে, সরকারের এই কৌশল ব্যবসায়ীদের জন্য সুখকর প্রমাণ হবে এবং তাদের উন্নতির জন্য সহায়ক হবে।
এছাড়া, বৈঠকের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত থাকবে বলে জানানো হয়।