বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের নেতাদের নীরবতা এবং অপ্রতিষ্ঠানিক পদক্ষেপের কারণে গাজাবাসী জনগণের মানবিক সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজা উপত্যকা, বর্তমানে এক গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে, যেখানে জীবনযাত্রার অবস্থা চরমভাবে সংকুচিত হয়ে গেছে।
গাজার অবস্থা এমন যে, সেখানে বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য এবং চিকিৎসাসেবা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপকূলে ইসরায়েল এবং মিশরের অবরোধ চলছে, যার ফলে সেখানকার জনগণ দীর্ঘমেয়াদী সংকটের মধ্যে জীবনযাপন করছে। ইসরায়েলের সামরিক হামলা, হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ, এবং আর্থিক সংকটের কারণে সেখানে দিনের পর দিন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে, মুসলিম রাষ্ট্রগুলির বেশিরভাগই এই পরিস্থিতিতে নীরব রয়েছে। সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান সহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলি কিছু সময় গাজাবাসীদের পক্ষে কথা বললেও, তারা কখনও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এদের মধ্যে কিছু দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার কারণে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে, আরব লীগ এবং ইসলামিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (OIC) নানা সময়ে গাজাবাসীদের সমর্থনে কথা বললেও তাদের উদ্যোগের কার্যকারিতা খুবই সীমিত। এই নীরবতার কারণে গাজার জনগণের পক্ষে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।
মুসলিম বিশ্বের এই নীরবতা এবং একযোগিতার অভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু আন্দোলন চলছে। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে শোবিজ অঙ্গনের নেতারা, মানবাধিকার সংগঠনগুলি, এবং অন্যান্য দেশের জনগণ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনের জনগণ আজও একদিনের জন্যও শত্রুদের অবরোধ এবং হামলার মুখে বাঁচতে পারছে না। মুসলিম রাষ্ট্রগুলির একযোগিতার অভাব আজ তাদের জন্য আরও বড় সংকটের সৃষ্টি করেছে, এবং সেই কারণেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এখনও সময় রয়েছে, মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে গাজার মানবিক সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। তাদের ঐক্য এবং আন্তর্জাতিক চাপ ফিলিস্তিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য দৃঢ় সমর্থন এবং কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ Abdus Salam
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।