০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে ‘মাইশা টাওয়ার’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক নারী নিহত ।

বাগেরহাটের চিলমারী উপজেলায় সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে ‘মাইশা টাওয়ার’ নামে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনিতা রায়, কাটাখালি দেবুদাসের স্ত্রী। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

ভবনটির নিচতলায় একটি মার্কেট, সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ একটি বেসরকারি ক্লিনিকও রয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্ভবত নিচতলা থেকে হয়, এবং ধীরে ধীরে এটি তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা হালিম হোসেন বলেন, “সকালে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখে আমরা দৌড়ে যাই। মানুষ চিৎকার করছে, কেউ জানালা দিয়ে নামছে, কেউ নিচে লাফ দিচ্ছে।”
আরেক বাসিন্দা রফিক মোল্লা জানান, “সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস না এলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারত। আমরা নিজেদের মতো করে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।”

চিতলমারী সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রায়হান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। খুলনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, “গোপালগঞ্জ, খুলনা ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।”

জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান জানান, “আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যাংকগুলো মোটামুটি অক্ষত রয়েছে। তবে, একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে, যা ধোঁয়ার কারণে হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।”

এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য তদন্ত শেষে জানানো হবে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগেরহাটে ‘মাইশা টাওয়ার’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক নারী নিহত ।

বাগেরহাটে ‘মাইশা টাওয়ার’ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক নারী নিহত ।

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

বাগেরহাটের চিলমারী উপজেলায় সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে ‘মাইশা টাওয়ার’ নামে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনিতা রায়, কাটাখালি দেবুদাসের স্ত্রী। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

ভবনটির নিচতলায় একটি মার্কেট, সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ একটি বেসরকারি ক্লিনিকও রয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্ভবত নিচতলা থেকে হয়, এবং ধীরে ধীরে এটি তৃতীয় তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা হালিম হোসেন বলেন, “সকালে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখে আমরা দৌড়ে যাই। মানুষ চিৎকার করছে, কেউ জানালা দিয়ে নামছে, কেউ নিচে লাফ দিচ্ছে।”
আরেক বাসিন্দা রফিক মোল্লা জানান, “সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস না এলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারত। আমরা নিজেদের মতো করে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।”

চিতলমারী সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রায়হান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। খুলনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, “গোপালগঞ্জ, খুলনা ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।”

জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান জানান, “আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যাংকগুলো মোটামুটি অক্ষত রয়েছে। তবে, একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে, যা ধোঁয়ার কারণে হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।”

এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য তদন্ত শেষে জানানো হবে।