০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সম্পর্কিত নতুন ঘোষণা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯ এপ্রিল (বুধবার) ঘোষণা করেছেন যে, চীন বাদে অন্যান্য দেশগুলোর ওপর যেসব পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি বা আলোচনার মাধ্যমে শুল্কের বিষয়টি সমাধান করার সুযোগ থাকবে। তবে, চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের বৃদ্ধির ঘোষণা

ট্রাম্প বলেন, “চীনের সাথে বাণিজ্যিক বৈষম্য এবং চীনা পণ্যের ওপর চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে আমরা চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছি।” এটি মূলত চীনের বাণিজ্যিক নীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনুকূল শর্তাবলী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে।

অন্যান্য দেশগুলোর শুল্ক স্থগিত

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অন্যান্য দেশগুলোর ওপর যেসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আসবে। যদিও, এই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে দেয়া হয়েছে, এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।

বাংলাদেশের ওপর শুল্ক

বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কেও কিছু পরিবর্তন হয়েছে। গত সপ্তাহে মার্কিন সরকার বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত বাংলাদেশের জন্য কিছু পণ্য মার্কিন বাজারে কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়বে। যদিও ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় বাংলাদেশের জন্য সরাসরি কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়নি, তবে এই শুল্কবিষয়ক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিবেশে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্লেষণ

এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নানা দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস ঘটাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্কের অস্থিরতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য যারা মার্কিন বাজারে তাদের পণ্য রপ্তানি করতে চায়।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সম্পর্কিত নতুন ঘোষণা।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:১০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯ এপ্রিল (বুধবার) ঘোষণা করেছেন যে, চীন বাদে অন্যান্য দেশগুলোর ওপর যেসব পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি বা আলোচনার মাধ্যমে শুল্কের বিষয়টি সমাধান করার সুযোগ থাকবে। তবে, চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের বৃদ্ধির ঘোষণা

ট্রাম্প বলেন, “চীনের সাথে বাণিজ্যিক বৈষম্য এবং চীনা পণ্যের ওপর চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে আমরা চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছি।” এটি মূলত চীনের বাণিজ্যিক নীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনুকূল শর্তাবলী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে।

অন্যান্য দেশগুলোর শুল্ক স্থগিত

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অন্যান্য দেশগুলোর ওপর যেসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আসবে। যদিও, এই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র প্রাথমিকভাবে দেয়া হয়েছে, এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।

বাংলাদেশের ওপর শুল্ক

বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কেও কিছু পরিবর্তন হয়েছে। গত সপ্তাহে মার্কিন সরকার বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত বাংলাদেশের জন্য কিছু পণ্য মার্কিন বাজারে কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়বে। যদিও ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় বাংলাদেশের জন্য সরাসরি কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়নি, তবে এই শুল্কবিষয়ক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিবেশে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্লেষণ

এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নানা দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস ঘটাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্কের অস্থিরতা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য যারা মার্কিন বাজারে তাদের পণ্য রপ্তানি করতে চায়।