
সিঙ্গাপুর, ১০ এপ্রিল: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ফেসবুকে এক আবেগঘন পোস্টে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসা, অতীত অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি লেখেন, “২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন আমার স্ত্রীর অসুখ ধরা পড়ে, তখন আমার পৃথিবীটা এক মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল। তিনি আমাদের পরিবারের মূল স্তম্ভ বা ভরসা।”
ফখরুল জানান, স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের আগের দিন রাত ৩টায় তাকে তার বাসা থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় বিএনপির ঢাকা মহাসমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছিল। ১০ ডিসেম্বর তার স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের দিন তিনি কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার কন্যারা এবং ডা. জাহিদ ছাড়া হাসপাতালে আর কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি।”
তিনি তার স্ত্রীর দৃঢ়তা এবং সহনশীলতার প্রশংসা করে বলেন, “তিনি শুধু দীর্ঘ চিকিৎসা প্রক্রিয়া নয়, প্রায় ৫০ বছরের পারিবারিক নানা চ্যালেঞ্জও হাসিমুখে মোকাবিলা করেছেন।”
পোস্টে তিনি আরও জানান, বর্তমানে তারা সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন এবং আজ (১০ এপ্রিল) স্ত্রীর চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে ছয় মাস পর পুনরায় ফলোআপের জন্য যেতে হবে।
মির্জা ফখরুল দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “আপনাদের দোয়া ও শুভকামনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
গত ৬ এপ্রিল তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যান। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ওইদিনই বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্ত্রীর অসুস্থতা ধরা পড়ার পর ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ফখরুলকে আটক করা হয়। ১০ ডিসেম্বর তার স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের দিনেও তিনি কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীতে ৩২ দিন কারাভোগ করে ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান।