
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, আল আকসার মুক্তি এবং গাজা উপত্যকার নির্যাতিত মানুষের শান্তি কামনায় রাজধানীতে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক হৃদয়স্পর্শী বিশেষ মোনাজাত। হাজারো মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত দোয়া আর চোখের পানিতে ভিজে উঠে ঢাকার আকাশ-বাতাস।
মোনাজাতে অংশ নেন লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ। অনেকের চোখে ছিল অশ্রু, হৃদয়ে ছিল ক্ষোভ ও প্রার্থনা—একটি অব্যাহত যুদ্ধের বিরুদ্ধে, একটি মানবিক বিপর্যয়ের জন্য।
💔 গাজার হৃদয়বিদারক বাস্তবতা স্মরণে
মোনাজাতে বারবার উঠে আসে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা, শিশু ও নারীসহ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকার চিত্র। একে একে স্মরণ করা হয় নিহত শিশুদের, ধ্বংস হওয়া হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা, এবং মানবতার ওপর চলা এই নির্মম আগ্রাসনের প্রতিবাদ।
বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ড. মিজানুর রহমান আজহারী মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি বলেন,
“আল্লাহ! ফিলিস্তিনের শিশুদের রক্ষা করুন। যারা শহীদ হয়েছে, তাদের জান্নাত দিন। যারা নিপীড়িত, তাদের জন্য আমরা আজ বুক পেতে দিয়েছি।”
🕊️ শান্তির জন্য সংহতি ও দোয়া
মোনাজাতে গাজার মানুষের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের প্রশংসা করা হয় এবং বিশ্বের সব নির্যাতিত মানুষের জন্য শান্তি ও ন্যায়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। সমবেত মানুষরা বলেন, “আমরা ভৌগোলিকভাবে দূরে থাকতে পারি, কিন্তু প্রার্থনায় আমরা এক। ফিলিস্তিন শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, এটি এক অনুভূতির নাম।”
📍 ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রেক্ষাপট
ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় আয়োজিত এই বিশাল কর্মসূচিতে অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। তরুণ, ছাত্র, ধর্মপ্রাণ মানুষ, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্মসূচিতে ফিলিস্তিনের পতাকা, ব্যানার ও পোস্টার হাতে নিয়ে মানুষ জানান দেন—“ফিলিস্তিনের পাশে বাংলাদেশ”।