০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি লতিফা আল-দ্রৌবির আন্তর্জাতিক অভিষেক।

সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও তার স্ত্রী লতিফা আল-দ্রৌবি নতুন যুগের সূচনা করেছেন দেশটির রাজনৈতিক মঞ্চে। সম্প্রতি তুরস্কের আনতালয়ায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ফোরামে প্রথমবারের মতো বিদেশি সরকারি সফরে অংশ নেন লতিফা।
নারী ও শিশুদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। ফোরাম শুরু হয় ১১ এপ্রিল, যেখানে বিশ্বের নানা দেশের কূটনীতিক ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তবে আরব মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়েন সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি।

প্রথমবার জনসম্মুখে, বদলে যাওয়া লতিফা

যেখানে আগে তিনি ছিলেন অনেকটাই আড়ালে, কালো বোরকায় রক্ষণশীল পরিচয়ে—এবার সেখানে দেখা গেল এক আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক লতিফাকে, যিনি পরেছিলেন তুর্কি স্টাইলের হিজাব ও বোরকা, ঠিক যেমন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান পরেন।
এমিনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেন লতিফা, এবং বৈঠক শেষে তুর্কি ফার্স্ট লেডি সামাজিক মাধ্যমে সেই মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত পরিচয়: একজন শিক্ষিতা, তিন সন্তানের জননী

লতিফার জন্ম ১৯৮৪ সালে, সিরিয়ার হোমস শহরে। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের মা। এতদিন তিনি রাজনীতির বাইরে থাকলেও স্বামীর রাজনৈতিক উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও এখন দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

রাজনীতির মোড় ঘোরা: শারার অতীত ও বর্তমান

আহমেদ আল-শারা একসময় ছিলেন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা-র সিরীয় শাখা আল-নুসরা ফ্রন্টের নেতা, তখন তার নাম ছিল মোহাম্মদ আল-জুলানি। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নতুন সরকারে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শারা।
এখন তিনি নিজেকে উদারপন্থি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। আর তার স্ত্রীকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করানো, তা-ই প্রমাণ করে।

আরব মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

এই সফরে লতিফার উপস্থিতি আরব ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার পায়। তার পোশাকচয়ন, ভাষা ব্যবহার এবং দৃপ্ত উপস্থিতি তাকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলেছে। অনেক বিশ্লেষক একে দেখছেন শারার পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান বদলের সরাসরি প্রতিফলন হিসেবে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে আবারও সোনার দামে রেকর্ড বৃদ্ধি, ভরিতে বাড়ল ৪১৮৭ টাকা

সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি লতিফা আল-দ্রৌবির আন্তর্জাতিক অভিষেক।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও তার স্ত্রী লতিফা আল-দ্রৌবি নতুন যুগের সূচনা করেছেন দেশটির রাজনৈতিক মঞ্চে। সম্প্রতি তুরস্কের আনতালয়ায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ফোরামে প্রথমবারের মতো বিদেশি সরকারি সফরে অংশ নেন লতিফা।
নারী ও শিশুদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। ফোরাম শুরু হয় ১১ এপ্রিল, যেখানে বিশ্বের নানা দেশের কূটনীতিক ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তবে আরব মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়েন সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি।

প্রথমবার জনসম্মুখে, বদলে যাওয়া লতিফা

যেখানে আগে তিনি ছিলেন অনেকটাই আড়ালে, কালো বোরকায় রক্ষণশীল পরিচয়ে—এবার সেখানে দেখা গেল এক আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক লতিফাকে, যিনি পরেছিলেন তুর্কি স্টাইলের হিজাব ও বোরকা, ঠিক যেমন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান পরেন।
এমিনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেন লতিফা, এবং বৈঠক শেষে তুর্কি ফার্স্ট লেডি সামাজিক মাধ্যমে সেই মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত পরিচয়: একজন শিক্ষিতা, তিন সন্তানের জননী

লতিফার জন্ম ১৯৮৪ সালে, সিরিয়ার হোমস শহরে। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের মা। এতদিন তিনি রাজনীতির বাইরে থাকলেও স্বামীর রাজনৈতিক উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও এখন দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

রাজনীতির মোড় ঘোরা: শারার অতীত ও বর্তমান

আহমেদ আল-শারা একসময় ছিলেন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা-র সিরীয় শাখা আল-নুসরা ফ্রন্টের নেতা, তখন তার নাম ছিল মোহাম্মদ আল-জুলানি। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নতুন সরকারে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শারা।
এখন তিনি নিজেকে উদারপন্থি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। আর তার স্ত্রীকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করানো, তা-ই প্রমাণ করে।

আরব মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

এই সফরে লতিফার উপস্থিতি আরব ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার পায়। তার পোশাকচয়ন, ভাষা ব্যবহার এবং দৃপ্ত উপস্থিতি তাকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলেছে। অনেক বিশ্লেষক একে দেখছেন শারার পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান বদলের সরাসরি প্রতিফলন হিসেবে।