১০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বটমূলের মঞ্চে জেগে উঠল বাঙালির আত্মপরিচয় ।

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে আজ সূর্যোদয়ের পর রাজধানীর ঐতিহাসিক রমনা বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এবার আয়োজনের মূল বার্তা—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, যা প্রতিফলিত করছে আলোর পথ ধরে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ও মানবতার জয়গান।

আলো, প্রকৃতি, দেশপ্রেম ও মানবিক চেতনার ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পুরো আয়োজন। পূর্ব-পশ্চিমে অর্ধবৃত্তাকারে নির্মিত ৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে চলবে দিনব্যাপী পরিবেশনা।

ছায়ানটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের আয়োজনে মোট ২৪টি পরিবেশনা থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান এবং ৩টি পাঠ। নববর্ষের কথন পাঠ করেছেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। অনুষ্ঠান শেষ হবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

বর্ষবরণে অংশ নেওয়া শিল্পীরা পরেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক—পুরুষদের জন্য মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা এবং নারীদের জন্য মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। শিল্পীদের পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মঞ্চেও আনা হয়েছে মেরুন রঙের ছোঁয়া। উল্লেখ্য, প্রতিবছর মঞ্চের নকশা একই থাকলেও রঙের ভিন্নতা আনা হয় পোশাকের রঙ অনুযায়ী। গত বছর ছিল হালকা সবুজের ছোঁয়া।

এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানট নিয়মিতভাবে পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন করে আসছে। এবারের আয়োজনকে সার্থক করে তুলতে গত তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে নিয়মিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“যুদ্ধ থামাতে অস্ত্র নয়, সেনা প্রত্যাহার চাই: হামাস”

বটমূলের মঞ্চে জেগে উঠল বাঙালির আত্মপরিচয় ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে আজ সূর্যোদয়ের পর রাজধানীর ঐতিহাসিক রমনা বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এবার আয়োজনের মূল বার্তা—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, যা প্রতিফলিত করছে আলোর পথ ধরে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ও মানবতার জয়গান।

আলো, প্রকৃতি, দেশপ্রেম ও মানবিক চেতনার ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পুরো আয়োজন। পূর্ব-পশ্চিমে অর্ধবৃত্তাকারে নির্মিত ৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে চলবে দিনব্যাপী পরিবেশনা।

ছায়ানটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের আয়োজনে মোট ২৪টি পরিবেশনা থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান এবং ৩টি পাঠ। নববর্ষের কথন পাঠ করেছেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। অনুষ্ঠান শেষ হবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

বর্ষবরণে অংশ নেওয়া শিল্পীরা পরেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক—পুরুষদের জন্য মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা এবং নারীদের জন্য মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। শিল্পীদের পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মঞ্চেও আনা হয়েছে মেরুন রঙের ছোঁয়া। উল্লেখ্য, প্রতিবছর মঞ্চের নকশা একই থাকলেও রঙের ভিন্নতা আনা হয় পোশাকের রঙ অনুযায়ী। গত বছর ছিল হালকা সবুজের ছোঁয়া।

এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানট নিয়মিতভাবে পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন করে আসছে। এবারের আয়োজনকে সার্থক করে তুলতে গত তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে নিয়মিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।