০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মঙ্গল’ নয়, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’তেই ফেরার বার্তা, ফারুকী ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় অংশ নিয়ে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, এ শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়, বরং এটি বাংলাদেশের বহুজাতিক সংস্কৃতির সম্মিলন এবং সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়। তবে ঐতিহাসিকভাবে এটিকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। আমরা এবার শুধুমাত্র ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি, কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি।”

তিনি আরও বলেন, “এখানে বাংলাদেশের রাজনীতি রয়েছে, তবে টিপিক্যাল রাজনীতি নয়। এখানে আপনি বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য—সুলতানি আমল, আকবর আমল, সবকিছুর সম্মিলন দেখতে পাবেন।”

চারুকলায় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। ১৯৯৬ সালে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এবছর আবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে ফিরে এসেছে এই আয়োজন, যা নিয়ে চারুকলার একদল শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে আপত্তি জানায়।

এ বিষয়ে ফারুকী বলেন, “চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, বরং আগেই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যশোরে ছিল ‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’, ঢাকায় এসে হয়েছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। এরপর চাপানো হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এবার চারুকলা নিজের সিদ্ধান্তে আগের নামেই ফিরে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু বাঙালির উৎসব নয়, বাংলাদেশের উৎসব। এখানে বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো—সব জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে। তাই এটিকে এখন থেকে আমরা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব হিসেবেই উদযাপন করবো।”

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘মঙ্গল’ নয়, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’তেই ফেরার বার্তা, ফারুকী ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:১৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় অংশ নিয়ে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, এ শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়, বরং এটি বাংলাদেশের বহুজাতিক সংস্কৃতির সম্মিলন এবং সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়। তবে ঐতিহাসিকভাবে এটিকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। আমরা এবার শুধুমাত্র ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি, কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি।”

তিনি আরও বলেন, “এখানে বাংলাদেশের রাজনীতি রয়েছে, তবে টিপিক্যাল রাজনীতি নয়। এখানে আপনি বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য—সুলতানি আমল, আকবর আমল, সবকিছুর সম্মিলন দেখতে পাবেন।”

চারুকলায় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। ১৯৯৬ সালে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এবছর আবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে ফিরে এসেছে এই আয়োজন, যা নিয়ে চারুকলার একদল শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে আপত্তি জানায়।

এ বিষয়ে ফারুকী বলেন, “চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, বরং আগেই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যশোরে ছিল ‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’, ঢাকায় এসে হয়েছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। এরপর চাপানো হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এবার চারুকলা নিজের সিদ্ধান্তে আগের নামেই ফিরে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু বাঙালির উৎসব নয়, বাংলাদেশের উৎসব। এখানে বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো—সব জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে। তাই এটিকে এখন থেকে আমরা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব হিসেবেই উদযাপন করবো।”