০২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০০ আসনের নির্বাচন: কাগজ ছাপার বিলই ৩৬ কোটি টাকা!

✍️ নিজস্ব প্রতিবেদক | 📍 ঢাকা | 📅 ১৫ এপ্রিল ২০২৫

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্যালট পেপার, মনোনয়ন ফরমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী মুদ্রণের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার রিম কাগজ। সরকারি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট (বিজি) প্রেস এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক বৈঠকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বিজি প্রেসের সঙ্গে ইসির এক বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকের কার্যপত্রের ভিত্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

🔹 কেন এত কাগজ প্রয়োজন?

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার প্রস্তুতকৃত কার্যপত্র অনুযায়ী: জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের জন্য প্রায় ১১ কোটি ভোটারের জন্য ব্যালট ছাপাতে হবে। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যালট, মনোনয়ন ফরম, ব্যানার, প্যাড, পোস্টার, নির্দেশিকা, রেজিস্টার, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ইত্যাদি মুদ্রণ প্রয়োজন।ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সংযুক্ত থাকে, তাই মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল মুদ্রণ কার্য সম্পন্ন করতে হবে।

🔹 সম্ভাব্য ব্যয় হিসাব

গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস ও বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের হিসাব অনুযায়ী, আসন্ন জাতীয় সংসদ এবং অন্যান্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত) নির্বাচনের জন্য:

  • প্রয়োজন হবে ,৬৯,৬২৯ রিম কাগজ
  • ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৩ টাকা

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জন্য ইসি ,৬১,০৭৪ রিম কাগজ ক্রয় করেছিল।

🔹 ছাপা হবে কী কী?

ইসি জানায়, নির্বাচনী সামগ্রীর মধ্যে থাকবে:

  • ২১ প্রকার ফরম
  • ১৭ প্রকার প্যাকেট
  • প্রকার পরিচয়পত্র
  • নির্বাচনী আচরণবিধি
  • প্রতীকের পোস্টার
  • নির্বাচন প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল
  • নির্দেশিকা, হিসাবরক্ষণ খাতা ইত্যাদি

ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য মুদ্রণ সামগ্রী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রস্তুত করে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

🟨 ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

এই প্রস্তুতি ইঙ্গিত দেয় যে জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। প্রতিবারের মতো এবারও ব্যালটভিত্তিক ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যার ফলে বিপুল পরিমাণ কাগজের চাহিদা তৈরি হয়েছে।

 

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

৩০০ আসনের নির্বাচন: কাগজ ছাপার বিলই ৩৬ কোটি টাকা!

প্রকাশিত হয়েছে: ০৪:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

✍️ নিজস্ব প্রতিবেদক | 📍 ঢাকা | 📅 ১৫ এপ্রিল ২০২৫

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্যালট পেপার, মনোনয়ন ফরমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী মুদ্রণের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার রিম কাগজ। সরকারি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট (বিজি) প্রেস এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক বৈঠকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বিজি প্রেসের সঙ্গে ইসির এক বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকের কার্যপত্রের ভিত্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

🔹 কেন এত কাগজ প্রয়োজন?

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার প্রস্তুতকৃত কার্যপত্র অনুযায়ী: জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের জন্য প্রায় ১১ কোটি ভোটারের জন্য ব্যালট ছাপাতে হবে। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যালট, মনোনয়ন ফরম, ব্যানার, প্যাড, পোস্টার, নির্দেশিকা, রেজিস্টার, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ইত্যাদি মুদ্রণ প্রয়োজন।ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সংযুক্ত থাকে, তাই মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল মুদ্রণ কার্য সম্পন্ন করতে হবে।

🔹 সম্ভাব্য ব্যয় হিসাব

গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস ও বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের হিসাব অনুযায়ী, আসন্ন জাতীয় সংসদ এবং অন্যান্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত) নির্বাচনের জন্য:

  • প্রয়োজন হবে ,৬৯,৬২৯ রিম কাগজ
  • ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৩ টাকা

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জন্য ইসি ,৬১,০৭৪ রিম কাগজ ক্রয় করেছিল।

🔹 ছাপা হবে কী কী?

ইসি জানায়, নির্বাচনী সামগ্রীর মধ্যে থাকবে:

  • ২১ প্রকার ফরম
  • ১৭ প্রকার প্যাকেট
  • প্রকার পরিচয়পত্র
  • নির্বাচনী আচরণবিধি
  • প্রতীকের পোস্টার
  • নির্বাচন প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল
  • নির্দেশিকা, হিসাবরক্ষণ খাতা ইত্যাদি

ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য মুদ্রণ সামগ্রী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রস্তুত করে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

🟨 ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

এই প্রস্তুতি ইঙ্গিত দেয় যে জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। প্রতিবারের মতো এবারও ব্যালটভিত্তিক ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যার ফলে বিপুল পরিমাণ কাগজের চাহিদা তৈরি হয়েছে।