সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মক্ষেত্রে গর্ভপাতের শোক ছুটি প্রদানের প্রবণতা বাড়ছে, যা কর্মীদের মানসিক সুস্থতার প্রতি সংস্থাগুলোর মানবিক মনোভাবের প্রতিফলন। বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন গর্ভপাতের শিকার হন, যা এই অঞ্চলেও সত্য। তবে, ৯৫ শতাংশ কর্মী গর্ভপাতের পর পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো ছুটি নেন না।
ডয়চে ব্যাংক, সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার ৫০০ কর্মীর জন্য গর্ভপাতের শোক ছুটি চালু করেছে। এই নীতি অনুযায়ী, গর্ভপাতের শিকার কর্মীরা পূর্ণ বেতনে ছুটি পাবেন। ডয়চে ব্যাংক তার মিশন হিসেবে কর্মীদের সুস্থতা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এছাড়া, ফাইন হাইজেনিক হোল্ডিং-এর সিইও জেমস মাইকেল ল্যাফটি, যিনি নিজে গর্ভপাতের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তার কোম্পানিতে গর্ভপাত ও মৃত সন্তান জন্মের জন্য ছুটি চালু করেছেন। তিনি মনে করেন, কর্মীদের শোক প্রক্রিয়া সম্মান করা উচিত এবং ছুটি তাদের মানসিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী, কর্মীরা স্ত্রীর মৃত্যুতে ৫ দিন এবং বাবা-মা, সন্তান, ভাই-বোন, দাদা-দাদি বা নাতি-নাতনির মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩ দিন বেতনে শোক ছুটি পাওয়ার অধিকারী।
এই পরিবর্তনগুলি কর্মক্ষেত্রে মানবিকতা এবং কর্মীদের সুস্থতার প্রতি সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। এমন উদ্যোগগুলি কর্মীদের মানসিক চাপ কমাতে এবং তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ Abdus Salam
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।