
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিল্পখাতে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নতুন সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখীতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি আবেদনের তারিখ এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে পেট্রোবাংলাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য উপযুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, এবং এই তালিকা পেট্রোবাংলা ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাস সংযোগ পাবে, তাদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে উৎপাদন ব্যাহত না হয়ে, শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে। ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা করা হয়।
এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা বলছেন, এমনিতেই বিনিয়োগ খরা ও বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে আছেন তারা; এর মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, যা শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক হলেও, সার্বিকভাবে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ছাড়া শিল্পে কাঙ্ক্ষিত গতি ফিরবে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ ছাড়া এ সংকট নিরসন কঠিন।