
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে সীমিত সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে ইসরায়েল। এমনকি এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে মার্কিন সমর্থন না পেলেও তা চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না তেল আবিব। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স-কে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছেন ইসরায়েলের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
সূত্রটি জানায়, যদি ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন না-ও পায়, তবু তারা এমন একটি ‘ক্ষুদ্র পরিসরের’ অভিযান পরিচালনার চিন্তা করছে, যা মার্কিন অনুমোদিত অভিযান থেকেও সীমিত পরিসরে হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, “ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না।” তবে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ ক্ষমতাকালে নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আলোচনার সময় ইরানের বিরুদ্ধে একক হামলা মেনে নেওয়া হবে না।
বর্তমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি পুনঃআলোচনা চলছে। ইসরায়েলের আশঙ্কা, এই আলোচনার আড়ালে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে এগোচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এমন ঘোষণার পেছনে থাকতে পারে কূটনৈতিক চাপ তৈরির উদ্দেশ্য—ইরানকে আলোচনায় নমনীয় করা বা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বাধ্য করা।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা ইরান-মিত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক সংঘাতের আগুন জ্বলে উঠতে পারে, বিশেষ করে গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইরান-ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনা বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি কূটনৈতিক সমাধান প্রচেষ্টায় প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন সমর্থন ছাড়াও যদি তেল আবিব এককভাবে সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তা হলে তা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।