০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওষুধের দাম না বাড়লে শিল্প ধ্বংস হবে: বাপি

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প টিকে রাখতে ওষুধের দামে দ্রুত ‘সমন্বয়’ আনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বাপি)-এর ট্রেজারার ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিইও মোহাম্মদ হালিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, “চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বাড়ছে, ওষুধ এর বাইরে নয়। কাঁচামাল, পরিবহন, গবেষণা— সব পর্যায়েই খরচ বেড়েছে, অথচ দাম একই আছে। এই পরিস্থিতিতে মূল্য সমন্বয় না হলে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি টিকবে না।”

সোমবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের যৌথ আয়োজনে ‘জার্নি অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন।

ওষুধ কোম্পানির প্রমোশনাল খরচ নিয়ে যে সমালোচনা রয়েছে তা অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন হালিমুজ্জামান। তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের কাছে নতুন তথ্য পৌঁছাতে প্রমোশন প্রয়োজন। বাস্তবে বড় কোম্পানিগুলোর প্রমোশনে খরচ ৪-৫ শতাংশের বেশি হয় না।”

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মান, বিশেষ করে FDA অনুমোদন পেতে যে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়, তাও তুলে ধরেন।

বাপির জেনারেল সেক্রেটারি ডা. জাকির হোসেন জানান, গত এক দশকে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প ১৫১টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে ১৬০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১১-১২ সালে ছিল মাত্র ৫০ মিলিয়ন। ২০৩০ সালের মধ্যে এ রপ্তানি ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি। এসিআই হেলথকেয়ারের এমডি এম. মোহিবুজ্জামান শিল্পের ইতিহাস, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে বক্তব্য দেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হাসান সোহেল।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের সঙ্গে যৌথভাবে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিল পাকিস্তান

ওষুধের দাম না বাড়লে শিল্প ধ্বংস হবে: বাপি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প টিকে রাখতে ওষুধের দামে দ্রুত ‘সমন্বয়’ আনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বাপি)-এর ট্রেজারার ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিইও মোহাম্মদ হালিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, “চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বাড়ছে, ওষুধ এর বাইরে নয়। কাঁচামাল, পরিবহন, গবেষণা— সব পর্যায়েই খরচ বেড়েছে, অথচ দাম একই আছে। এই পরিস্থিতিতে মূল্য সমন্বয় না হলে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি টিকবে না।”

সোমবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের যৌথ আয়োজনে ‘জার্নি অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন।

ওষুধ কোম্পানির প্রমোশনাল খরচ নিয়ে যে সমালোচনা রয়েছে তা অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন হালিমুজ্জামান। তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের কাছে নতুন তথ্য পৌঁছাতে প্রমোশন প্রয়োজন। বাস্তবে বড় কোম্পানিগুলোর প্রমোশনে খরচ ৪-৫ শতাংশের বেশি হয় না।”

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মান, বিশেষ করে FDA অনুমোদন পেতে যে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়, তাও তুলে ধরেন।

বাপির জেনারেল সেক্রেটারি ডা. জাকির হোসেন জানান, গত এক দশকে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প ১৫১টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে ১৬০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১১-১২ সালে ছিল মাত্র ৫০ মিলিয়ন। ২০৩০ সালের মধ্যে এ রপ্তানি ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি। এসিআই হেলথকেয়ারের এমডি এম. মোহিবুজ্জামান শিল্পের ইতিহাস, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে বক্তব্য দেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হাসান সোহেল।