
গাজা উপত্যকায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা, যা ‘কাবিনেট’ নামে পরিচিত।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন তেল আবিবের অভ্যন্তরে যুদ্ধনীতি নিয়ে গভীর মতবিরোধ রয়েছে। কিছু মন্ত্রী গাজায় পূর্ণমাত্রার ও ব্যাপক সামরিক অভিযান চালানোর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন, অন্যদিকে একাংশ ধাপে ধাপে সামরিক চাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে আলোচনার শর্ত উন্নত করে বন্দী ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনার কৌশলের পক্ষে সাফাই দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র এবং বিশ্লেষকদের মতে, এই মতানৈক্যের ফলে ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যখন গাজার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তখন এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত সামনের দিনগুলোতে সংঘাতের গতিপথ নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রগুলো একাধিকবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং সেখানে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। স্বাস্থ্য খাত, খাদ্য সরবরাহ ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ বর্তমানে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন অংশে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, বিদ্যুৎ সংকট এবং পানির দুষ্প্রাপ্যতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। একাধিক মানবাধিকার সংগঠন এই সামরিক অভিযানকে “গণহত্যার মতো অপরাধ” বলে অভিহিত করেছে।
২০২৩ সালের শেষভাগ থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক দফায় অভিযান পরিচালনা করছে। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে এসব অভিযানে বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। একইসঙ্গে গাজা শহরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে।