
বাংলাদেশের জন্য এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে কাতার সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক নবায়নের ঘোষণা দিয়েছে। একইসাথে বাংলাদেশে একটি প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছে কাতার।
এই প্রতিশ্রুতি আসে দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার এক বৈঠকে। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে চায় এবং এর পুনর্গঠনে সহায়তা প্রত্যাশা করে।”
২০১৭ সাল থেকে কাতার-বাংলাদেশের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহ চুক্তি কার্যকর রয়েছে। ২০২৩ সালে আরও একটি ১৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ২০২৬ সালে কার্যকর হবে। তবে এসব চুক্তির আওতাভুক্ত একটি সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যাওয়ায়, তা নবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, মাতারবাড়িতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, পাইপলাইন স্থাপন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণে কাতারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশের টার্মিনালগুলো বছরে ১১৫টি কার্গো পরিচালনা করতে সক্ষম, এবং ভবিষ্যতে কার্গোর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কাতারের পক্ষ থেকে ইউরিয়া সার সরবরাহ বৃদ্ধিরও আশ্বাস দেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিআইডিএ চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি সচিব লামিয়া মোর্শেদ ও জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।