
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হককে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি করার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তিনি মৌখিক মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নবী-রাসূলদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছিলেন। সম্প্রতি চায়ের দোকান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করলে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়।
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমএ রউফ খান জানান, মোজাম্মেল হক “আহলে কোরআন ওয়াল জামাত” মতবাদে বিশ্বাসী এবং হাদিস অস্বীকার করেন, যা নিয়ে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। ঘটনার পর পুলিশ তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।
তাহেরহুদা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কাজী মোখলেসুর রহমান রাসু জানান, মোজাম্মেল হক আগেও নবী-রাসূলদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। সাম্প্রতিক ঘটনায় এলাকার যুবকরা তাকে ধরে মারধর করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের কাছে তিনি মৌখিকভাবে দায় স্বীকার করে মাফ চান এবং আর কখনো এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও নীতিগত অবস্থানের প্রশ্ন তুলতে পারে।
ধর্মীয় সংবেদনশীলতা ও মতবাদের দ্বন্দ্বের কারণে এমন ঘটনা সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।