০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় করলে রেহাই পাবে না – মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায়-অপকর্ম না করে। অন্যথায়, জনগণ তাদের ভালোবাসবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করে, তাহলে জেলা নেতারা তাদের শক্ত হাতে দমন করবেন অথবা পুলিশে তুলে দেবেন। অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো জনগণের রোষানলে পড়বে।”

মির্জা ফখরুল অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যেসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন, তাতে তিনি বলেন, “গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমরা পালিয়ে যাইনি, আদালতে মিথ্যা মামলা মোকাবিলা করেছি।”

এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করেন, “আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনি দেশে এসে মামলা লড়ুন, আপনার যদি সাহস থাকে।”

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসন আমলে তিনি জনগণের ওপর এত নির্যাতন করেছেন যে, পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ যদি তাকে পেত, তো তাকে ছিঁড়ে ফেলতো। হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে জনগণই তাকে দেখবে।”

এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, বলেন, “এই এলাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়নি, কারণ এখানে বিএনপি সমর্থনকারীরা থাকেন। অনেক এলাকায় বিএনপি সমর্থকদের কারণে উন্নয়ন হয়নি।”

তিনি সব শেষে জনগণের উদ্দেশে বলেন, “আমরা সবাই মিলে একটি ভালোবাসার দেশ গড়ি এবং ধানের শীষের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।”

গণসংযোগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ অন্যান্য নেতারা।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় করলে রেহাই পাবে না – মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায়-অপকর্ম না করে। অন্যথায়, জনগণ তাদের ভালোবাসবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করে, তাহলে জেলা নেতারা তাদের শক্ত হাতে দমন করবেন অথবা পুলিশে তুলে দেবেন। অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো জনগণের রোষানলে পড়বে।”

মির্জা ফখরুল অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যেসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন, তাতে তিনি বলেন, “গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমরা পালিয়ে যাইনি, আদালতে মিথ্যা মামলা মোকাবিলা করেছি।”

এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করেন, “আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনি দেশে এসে মামলা লড়ুন, আপনার যদি সাহস থাকে।”

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসন আমলে তিনি জনগণের ওপর এত নির্যাতন করেছেন যে, পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ যদি তাকে পেত, তো তাকে ছিঁড়ে ফেলতো। হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে জনগণই তাকে দেখবে।”

এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, বলেন, “এই এলাকায় রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়নি, কারণ এখানে বিএনপি সমর্থনকারীরা থাকেন। অনেক এলাকায় বিএনপি সমর্থকদের কারণে উন্নয়ন হয়নি।”

তিনি সব শেষে জনগণের উদ্দেশে বলেন, “আমরা সবাই মিলে একটি ভালোবাসার দেশ গড়ি এবং ধানের শীষের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।”

গণসংযোগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ অন্যান্য নেতারা।