১২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“কেউ বাংলার মাটিতে থাবা দিতে চাইলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।”

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত মহাসমাবেশে উগ্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের লালসবুজ পতাকার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলব।”

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই মহাসমাবেশে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, নারীবিষয়ক বিতর্কিত সংস্কার কমিশন গঠন করে আমাদের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রির সওদাবাজি হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে।”

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে আব্বাসী বলেন, “আমরা ভারতকে শায়েস্তা করেছি। আটলান্টিকের ওপার থেকে কেউ আগ্রাসন করতে এলে মাদ্রাসার ছাত্ররা ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা মাঠে নামব।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ বাংলার মাটিতে থাবা দিতে চাইলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।”

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে তিনি বলেন, “এই নারী নামক হিজড়াগুলো যে দুঃসাহস করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

এই বক্তব্যে স্পষ্টতই হেফাজতের তরফ থেকে শুধু কমিশন বাতিলের দাবি নয়, বরং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হেফাজতের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে আব্বাসী বলেন, “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে রাজনীতি করে না, করবেও না। কিন্তু অপরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দেশের ইতিহাস কলঙ্কিত। আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা ছাত্রদের রক্তের ওপরে পা রেখে ইসলামবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় গিয়েছে। এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।”

আব্বাসী বলেন, “বাংলাদেশে অবশ্যই কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। নাস্তিকদের শায়েস্তা করতে ব্লাসফেমি আইন করতে হবে। এজন্য রক্ত দিতে হলে দেব।”

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

কারাগারে রোগ ছড়ানোর ষড়যন্ত্র? ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

“কেউ বাংলার মাটিতে থাবা দিতে চাইলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত মহাসমাবেশে উগ্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের লালসবুজ পতাকার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলব।”

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই মহাসমাবেশে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, নারীবিষয়ক বিতর্কিত সংস্কার কমিশন গঠন করে আমাদের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রির সওদাবাজি হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে।”

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে আব্বাসী বলেন, “আমরা ভারতকে শায়েস্তা করেছি। আটলান্টিকের ওপার থেকে কেউ আগ্রাসন করতে এলে মাদ্রাসার ছাত্ররা ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা মাঠে নামব।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ বাংলার মাটিতে থাবা দিতে চাইলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।”

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে তিনি বলেন, “এই নারী নামক হিজড়াগুলো যে দুঃসাহস করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

এই বক্তব্যে স্পষ্টতই হেফাজতের তরফ থেকে শুধু কমিশন বাতিলের দাবি নয়, বরং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হেফাজতের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে আব্বাসী বলেন, “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে রাজনীতি করে না, করবেও না। কিন্তু অপরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দেশের ইতিহাস কলঙ্কিত। আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা ছাত্রদের রক্তের ওপরে পা রেখে ইসলামবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় গিয়েছে। এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।”

আব্বাসী বলেন, “বাংলাদেশে অবশ্যই কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। নাস্তিকদের শায়েস্তা করতে ব্লাসফেমি আইন করতে হবে। এজন্য রক্ত দিতে হলে দেব।”