১২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“শাপলা চত্বরে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল”—প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিবের দাবি

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (৫ মে) সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যতবার হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় ধরনের বিক্ষোভ করতে দেখি, ততবার শাপলা চত্বরের গণহত্যা নিয়ে আমাদের তদন্তের কথা মনে পড়ে।”

পোস্টে আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি সেই সময় ঢাকায় কর্মরত বিবিসির সাবেক সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে যৌথভাবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য এই তদন্ত পরিচালনা করেন।
“রাস্তা-ঘাট চষে বেড়ানো, হাসপাতালের নথি খোঁজা, নিহতদের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎ ও দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা নিশ্চিত হই, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৮। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে,” বলেন তিনি।

আজাদ আরও লিখেছেন, “তদন্তকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত ভয়ে ছিলাম—কখন না নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাই। সে সময় নিজের নাম সামনে আনতে পারিনি। কিন্তু এখন যখন দেখি, আমার কাজ সাংবাদিকরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা সত্যিকারের আনন্দ দেয়।”

হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক ৩ মে’র মহাসমাবেশে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার দাবি জোরদার হয়। তারা অভিযোগ করে, “পিলখানা, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় কমিশন হয়, ট্রাইব্যুনাল হয়; কিন্তু ২০১৩ সালের গণহত্যার কোনো বিচার হয়নি।”

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

কারাগারে রোগ ছড়ানোর ষড়যন্ত্র? ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

“শাপলা চত্বরে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল”—প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিবের দাবি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (৫ মে) সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যতবার হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় ধরনের বিক্ষোভ করতে দেখি, ততবার শাপলা চত্বরের গণহত্যা নিয়ে আমাদের তদন্তের কথা মনে পড়ে।”

পোস্টে আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি সেই সময় ঢাকায় কর্মরত বিবিসির সাবেক সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে যৌথভাবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য এই তদন্ত পরিচালনা করেন।
“রাস্তা-ঘাট চষে বেড়ানো, হাসপাতালের নথি খোঁজা, নিহতদের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎ ও দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা নিশ্চিত হই, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৮। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে,” বলেন তিনি।

আজাদ আরও লিখেছেন, “তদন্তকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত ভয়ে ছিলাম—কখন না নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নিখোঁজ হয়ে যাই। সে সময় নিজের নাম সামনে আনতে পারিনি। কিন্তু এখন যখন দেখি, আমার কাজ সাংবাদিকরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা সত্যিকারের আনন্দ দেয়।”

হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক ৩ মে’র মহাসমাবেশে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার দাবি জোরদার হয়। তারা অভিযোগ করে, “পিলখানা, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় কমিশন হয়, ট্রাইব্যুনাল হয়; কিন্তু ২০১৩ সালের গণহত্যার কোনো বিচার হয়নি।”