০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি অস্ত্র ধ্বংসের দায়ে ‘ফিলটন ১৮’–এর বিচার শুরু, সমর্থকদের প্রতিবাদ

ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনের ১৮ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে তাদের হাজির করা হলে আদালত চত্বর থেকে সক্রিয়তাবাদীদের সমর্থনে উচ্চস্বরে স্লোগান ওঠে:
“ফিলটন ১৮-কে মুক্তি দাও, ফিলিস্তিনকে মুক্তি দাও!”

এই ১৮ জন কর্মীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের অবকাঠামো ধ্বংস এবং সরঞ্জামাদি অকেজো করে দেওয়ার মতো অভিযোগ।

তবে সমর্থকদের দাবি, এরা সন্ত্রাসী নয় — বরং গণহত্যা প্রতিরোধে প্রতিরোধের মুখ।
তাদের মতে, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সরাসরি সেই অবকাঠামোগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করছে, যেগুলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ব্যবহৃত হয়।

ওল্ড বেইলিতে হাজিরার সময় আদালতের বাইরে সমর্থকেরা জড়ো হয়ে সক্রিয়তাবাদীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের ভ্যান করে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় সমর্থকেরা হাততালি দিয়ে ও স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।

‘ফিলটন ১৮’ নামটি এসেছে ব্রিস্টলের ফিলটনে অবস্থিত একটি ইসরায়েলি অস্ত্র কারখানার বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সূত্র ধরে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত বছরে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের কর্মীরা এলবিট সিস্টেমসের ব্রিটিশ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে এই কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা মূলত রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ, কারণ তারা সরাসরি সামরিক শিল্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও আন্দোলনকারীরা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “যে রাষ্ট্র অস্ত্র রপ্তানি করে এবং যুদ্ধকে সমর্থন করে, সেই রাষ্ট্রই এখন যুদ্ধবিরোধীদের শাস্তি দিচ্ছে।”

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

ইসরায়েলি অস্ত্র ধ্বংসের দায়ে ‘ফিলটন ১৮’–এর বিচার শুরু, সমর্থকদের প্রতিবাদ

ইসরায়েলি অস্ত্র ধ্বংসের দায়ে ‘ফিলটন ১৮’–এর বিচার শুরু, সমর্থকদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনের ১৮ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে তাদের হাজির করা হলে আদালত চত্বর থেকে সক্রিয়তাবাদীদের সমর্থনে উচ্চস্বরে স্লোগান ওঠে:
“ফিলটন ১৮-কে মুক্তি দাও, ফিলিস্তিনকে মুক্তি দাও!”

এই ১৮ জন কর্মীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের অবকাঠামো ধ্বংস এবং সরঞ্জামাদি অকেজো করে দেওয়ার মতো অভিযোগ।

তবে সমর্থকদের দাবি, এরা সন্ত্রাসী নয় — বরং গণহত্যা প্রতিরোধে প্রতিরোধের মুখ।
তাদের মতে, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সরাসরি সেই অবকাঠামোগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করছে, যেগুলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ব্যবহৃত হয়।

ওল্ড বেইলিতে হাজিরার সময় আদালতের বাইরে সমর্থকেরা জড়ো হয়ে সক্রিয়তাবাদীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের ভ্যান করে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় সমর্থকেরা হাততালি দিয়ে ও স্লোগানে স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।

‘ফিলটন ১৮’ নামটি এসেছে ব্রিস্টলের ফিলটনে অবস্থিত একটি ইসরায়েলি অস্ত্র কারখানার বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সূত্র ধরে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত বছরে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের কর্মীরা এলবিট সিস্টেমসের ব্রিটিশ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে এই কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা মূলত রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ, কারণ তারা সরাসরি সামরিক শিল্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও আন্দোলনকারীরা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “যে রাষ্ট্র অস্ত্র রপ্তানি করে এবং যুদ্ধকে সমর্থন করে, সেই রাষ্ট্রই এখন যুদ্ধবিরোধীদের শাস্তি দিচ্ছে।”