একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিভিল প্রসিডিউর অ্যাক্ট এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা দেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
নতুন আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো:
মামলার শুনানি ইচ্ছেমতো মুলতবি করা যাবে না, সর্বোচ্চ চারবার করা যাবে।
আরজি বা লিখিত স্টেটমেন্ট মৌখিকভাবে উপস্থাপনের প্রথা বিলুপ্ত হবে।
রায়ের পরে আলাদা করে এক্সিকিউশন মামলা করতে হবে না।
সমন জারির প্রক্রিয়ায় ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।
মামলা নিষ্পত্তির সময় অর্ধেকে নেমে আসবে— আগে যেখানে ৫ বছর লাগত, এখন সেখানে ২.৫ বছরেই রায় পাওয়া যাবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আগে সমনের জন্য কেবল কাগজে ভরসা করা হতো। এখন থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে সমন পাঠানো যাবে এবং সেসবের রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে। এতে সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হবে।”
তিনি এটিকে একটি ব্যবস্থাগত সংস্কার হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “দেশের মানুষ বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরে ন্যায়বিচারের আশায় থাকে। এই আইন সে পরিস্থিতি বদলাবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ Abdus Salam
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।