০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামাসের কারাগার নয়, ‘নিজেদের হেফাজতেই’ ধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি তরুণী

গাজা থেকে হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া এক ইসরায়েলি তরুণীর সঙ্গে ইসরায়েলেই ঘটে গেছে নতুন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, বন্দিদশা থেকে ফিরিয়ে আনার পর যে ‘সুরক্ষিত হেফাজতে’ তাকে রাখা হয়েছিল, সেখানেই তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

এ ঘটনা ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন ঘিরে—একজন তরুণী যুদ্ধ থেকে ফিরে নিজের দেশেই যদি নিরাপদ না থাকেন, তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোথায়? আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে মোতায়েন ছিল আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা, যাদের মধ্যে ভারতীয় সদস্যরাও ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনা কেবল একটি রাষ্ট্র বা বাহিনীর ব্যর্থতাই নয়, বরং একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থার ত্রুটি যেখানে ‘শান্তি রক্ষার’ নামে নারীর নিরাপত্তা উপেক্ষিত থাকে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তদন্তের দাবি তুলেছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আরও একবার আলোচনায় উঠে এসেছে জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে পূর্বের অভিযোগগুলো—যেগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই দায় এড়াতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে।

এমন ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা শুধু একজন নারীর জন্য নয়, বরং যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নারী নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরি—বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

হামাসের কারাগার নয়, ‘নিজেদের হেফাজতেই’ ধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি তরুণী

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:১৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

গাজা থেকে হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া এক ইসরায়েলি তরুণীর সঙ্গে ইসরায়েলেই ঘটে গেছে নতুন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, বন্দিদশা থেকে ফিরিয়ে আনার পর যে ‘সুরক্ষিত হেফাজতে’ তাকে রাখা হয়েছিল, সেখানেই তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

এ ঘটনা ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন ঘিরে—একজন তরুণী যুদ্ধ থেকে ফিরে নিজের দেশেই যদি নিরাপদ না থাকেন, তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোথায়? আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে মোতায়েন ছিল আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা, যাদের মধ্যে ভারতীয় সদস্যরাও ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ঘটনা কেবল একটি রাষ্ট্র বা বাহিনীর ব্যর্থতাই নয়, বরং একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থার ত্রুটি যেখানে ‘শান্তি রক্ষার’ নামে নারীর নিরাপত্তা উপেক্ষিত থাকে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তদন্তের দাবি তুলেছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আরও একবার আলোচনায় উঠে এসেছে জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে পূর্বের অভিযোগগুলো—যেগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই দায় এড়াতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে।

এমন ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা শুধু একজন নারীর জন্য নয়, বরং যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নারী নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরি—বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা।