০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইজরায়েলের নতুন টার্গেট ইয়েমেন

গাজা ও লেবাননের পর এবার ইজরায়েলের নজর পড়েছে ইয়েমেনের ওপর। মঙ্গলবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানায়, তাদের বিমানবাহিনী (IAF) প্রায় ২০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে। জানা গেছে, অন্তত ৫০টির বেশি বোমা ফেলা হয়েছে হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে।

প্রশ্ন উঠছে—কেন ইয়েমেন?

হুথি গোষ্ঠী প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা রেড সি অঞ্চলে ইজরায়েলগামী জাহাজের গতিবিধি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। ফলে, ইজরায়েলের চোখে ইয়েমেন এখন আর কৌশলগত প্রতিবন্ধক নয়, বরং সরাসরি শত্রু।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা শুধু একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়—বরং একটি রাজনৈতিক বার্তা: “যে কেউ ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে, তার ওপরই পড়বে ইজরায়েলের বোমা।”

মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন একটি গভীর কৌশলগত রূপ নিচ্ছে। গাজা, দক্ষিণ লেবানন, এবং এখন ইয়েমেন—সবচেয়ে স্পষ্ট যে বার্তাটি উঠে আসছে তা হলো: “ইজরায়েল এখন প্রতিরক্ষা নয়, প্রতিশোধের নীতি গ্রহণ করেছে।”

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই হামলার পরিণতি নিয়ে। কারণ ইয়েমেন শুধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র নয়, বরং সৌদি-ইরান প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে আরও একটি সংঘর্ষ পুরো অঞ্চলকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই আগ্রাসন থামাতে না পারলে প্রশ্ন একটাই: গাজা, লেবানন, ইয়েমেনের পর তালিকায় কে থাকবে?”

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

মামলা নিষ্পত্তিতে সময় কমবে অর্ধেকে: আইন উপদেষ্টার ঘোষণা

ইজরায়েলের নতুন টার্গেট ইয়েমেন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:২১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

গাজা ও লেবাননের পর এবার ইজরায়েলের নজর পড়েছে ইয়েমেনের ওপর। মঙ্গলবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানায়, তাদের বিমানবাহিনী (IAF) প্রায় ২০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে। জানা গেছে, অন্তত ৫০টির বেশি বোমা ফেলা হয়েছে হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে।

প্রশ্ন উঠছে—কেন ইয়েমেন?

হুথি গোষ্ঠী প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা রেড সি অঞ্চলে ইজরায়েলগামী জাহাজের গতিবিধি বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। ফলে, ইজরায়েলের চোখে ইয়েমেন এখন আর কৌশলগত প্রতিবন্ধক নয়, বরং সরাসরি শত্রু।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা শুধু একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়—বরং একটি রাজনৈতিক বার্তা: “যে কেউ ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে, তার ওপরই পড়বে ইজরায়েলের বোমা।”

মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন একটি গভীর কৌশলগত রূপ নিচ্ছে। গাজা, দক্ষিণ লেবানন, এবং এখন ইয়েমেন—সবচেয়ে স্পষ্ট যে বার্তাটি উঠে আসছে তা হলো: “ইজরায়েল এখন প্রতিরক্ষা নয়, প্রতিশোধের নীতি গ্রহণ করেছে।”

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই হামলার পরিণতি নিয়ে। কারণ ইয়েমেন শুধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র নয়, বরং সৌদি-ইরান প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে আরও একটি সংঘর্ষ পুরো অঞ্চলকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই আগ্রাসন থামাতে না পারলে প্রশ্ন একটাই: গাজা, লেবানন, ইয়েমেনের পর তালিকায় কে থাকবে?”