
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের সামনে থেকে অবৈধভাবে ব্যবহৃত ২১টি হুইলচেয়ার জব্দ করেছে হাসপাতাল প্রশাসন।
বুধবার (৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয় হাসপাতালের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আইয়ুব হোসেন জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরি বিভাগের আশপাশ থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকা হুইলচেয়ারগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে এসব হুইলচেয়ার প্রশাসনিক ব্লকে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত এমন অভিযান পরিচালনা করি। এর আগেও একাধিকবার দালালদের হুইলচেয়ার আটক করা হয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে হুইলচেয়ার দালাল চক্রের সক্রিয়তা বেড়েছে। তারা প্রায় ১০০টি হুইলচেয়ার ব্যবহার করে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু সরকারি কর্মচারীর মদদেই দালাল চক্রটি হাসপাতালের ভেতরে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ডা. আশরাফুল আলম বলেন, “আমরা বিকেলে জরুরি বিভাগের সামনে থেকে অবৈধভাবে ব্যবহৃত ২১টি হুইলচেয়ার জব্দ করেছি। এদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। তারা রোগীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করে এবং অনেক সময় রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য প্ররোচিত করে।”
তিনি আরও জানান, এই হুইলচেয়ার দালাল চক্র শুধু রোগী সেবায় বাধা নয়, বরং এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই চক্রের বিরুদ্ধে এর আগেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকজন দালালকে কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করে।
সম্প্রতি এই চক্রের দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং রোগীদের নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।