১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘যুদ্ধ না চাইলেও জবাব দেব’: পাকিস্তান, ৮০ যুদ্ধবিমানের হামলার অভিযোগ

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর বুধবার রাতভর দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে ভারতের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০টি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। তিনি বলেন, হামলার লক্ষ্য ছিল বেসামরিক এলাকা ও ধর্মীয় উপাসনালয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলাকে “ঘৃণ্য কাজ” বলে আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ইসহাক দার আরও জানান, পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু না করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও দু’টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী মধ্যরাতের ওই হামলায় মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে। ভারতের দাবি, এই অভিযানে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রাণহানি হয়েছে ২৬ জনের।

এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির তীব্রতা বেড়েছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে তাদের তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভূপাতিত করার দাবিকৃত যুদ্ধবিমানের সংখ্যা নিয়ে ভারতীয় পক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে “উপযুক্ত ব্যবস্থা” নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ না হলে উপমহাদেশে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

‘যুদ্ধ না চাইলেও জবাব দেব’: পাকিস্তান, ৮০ যুদ্ধবিমানের হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর বুধবার রাতভর দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে ভারতের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০টি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। তিনি বলেন, হামলার লক্ষ্য ছিল বেসামরিক এলাকা ও ধর্মীয় উপাসনালয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলাকে “ঘৃণ্য কাজ” বলে আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ইসহাক দার আরও জানান, পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু না করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও দু’টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী মধ্যরাতের ওই হামলায় মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে। ভারতের দাবি, এই অভিযানে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রাণহানি হয়েছে ২৬ জনের।

এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির তীব্রতা বেড়েছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে তাদের তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভূপাতিত করার দাবিকৃত যুদ্ধবিমানের সংখ্যা নিয়ে ভারতীয় পক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে “উপযুক্ত ব্যবস্থা” নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ না হলে উপমহাদেশে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।