০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ৫৪

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মোট প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৬০০-এর বেশি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার আল-তুফাহ এলাকায় একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে ১৬ জন নিহত হন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া, গাজা শহরের জনবহুল আল-ওয়াহদা স্ট্রিটের একটি বাজারে বিমান হামলায় আরও ২২ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশু ও এক সাংবাদিকও ছিলেন।

খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক শিশুসহ নিহত হন ৮ জন। বানি সুহাইলা শহরে গুলিতে প্রাণ হারান এক দম্পতি। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও ইসরায়েলি হামলায় একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

গাজার সরকারি তথ্য অফিস জানিয়েছে, চলমান আগ্রাসনে ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও বাস্তুচ্যুতি কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবুও অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

বাংলাদেশকে ‘গ্লোবাল ফ্যাক্টরি’ বানাতে চান ড. ইউনূস: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ৫৪

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মোট প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৬০০-এর বেশি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার আল-তুফাহ এলাকায় একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে ১৬ জন নিহত হন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া, গাজা শহরের জনবহুল আল-ওয়াহদা স্ট্রিটের একটি বাজারে বিমান হামলায় আরও ২২ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশু ও এক সাংবাদিকও ছিলেন।

খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক শিশুসহ নিহত হন ৮ জন। বানি সুহাইলা শহরে গুলিতে প্রাণ হারান এক দম্পতি। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও ইসরায়েলি হামলায় একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

গাজার সরকারি তথ্য অফিস জানিয়েছে, চলমান আগ্রাসনে ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও বাস্তুচ্যুতি কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবুও অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।