
ঢাকা, ৮ মে: ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল— অন্য দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে দলে না নেয়ার বিষয়ে— সেখান থেকে এখন সরে এসেছে দলটি। এখন থেকে আওয়ামী লীগসহ অন্য যে কোনো দলের সাবেক সদস্য বা রাজনৈতিকভাবে অক্রিয় ব্যক্তিও নির্দিষ্ট কিছু শর্তে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, প্রাথমিক সদস্য ফরমের সঙ্গে এবার একটি আলাদা আবেদনপত্রও থাকবে, যা যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
রিজভী বলেন, “যারা একসময় আওয়ামী লীগে ছিলেন কিন্তু তাদের দুঃশাসন, লুটপাট, বর্বরতা বা দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, যারা আগেই আওয়ামী লীগ থেকে সরে এসেছেন এবং বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী— এমন ব্যক্তিরা আমাদের দলে যোগ দিতে পারবেন।” তিনি আরও বলেন, “শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী, ব্যাংকার— সমাজের ক্লিন ইমেজের যেকোনো ব্যক্তি বিএনপির সদস্য হতে পারেন।”
রিজভী সতর্ক করে বলেন, “যারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জমি দখল, বা টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত— এ ধরনের ব্যক্তিদের কঠোরভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য, ক্লিন ইমেজের মানুষদের বিএনপিতে সুযোগ দেওয়া।”
বিএনপির সদস্য হতে ইচ্ছুকদের ২০ টাকার বিনিময়ে ফরম সংগ্রহ করতে হবে, এবং যাচাই-বাছাই শেষে সদস্যপদ নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, দলটির কোনো পর্যায়ের কমিটিতে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তবে নতুন এই সিদ্ধান্তে দলীয় নীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।