
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং সরাসরি সংঘাতে যেতে চায় না।
শুক্রবার (৯ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “পাকিস্তান কূটনীতিকে সুযোগ দিচ্ছে।” তিনি ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হামলার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “ভারত বলছে পাকিস্তান ১৫টি শহরে মিসাইল ছুড়েছে— এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। তারা পরিস্থিতি নিয়ে হাইপ তৈরির চেষ্টা করছে।”
এর আগে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতের দাবি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “এটি এমন একটি অসাধারণ বানানো গল্প, যা শুনে শুধু হাসা যায়।”
অন্যদিকে, ভারতের এক সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, জম্মু অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একইসঙ্গে পাঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকাতেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
পাকিস্তান সরকারের সূত্র জানিয়েছে, ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করতে যে তারা ভারতের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের মিসাইল বা ড্রোন হামলা চালায়নি।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।