
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে মূল্য ও পরিমাণ—উভয় দিক থেকেই এই রপ্তানির হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতাকে অর্থনীতিবিদরা দেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি ‘ইতিবাচক মোড়’ হিসেবে দেখছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানায়, ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার ১০৫% এরও বেশি। ডেনিম, ট্রাউজার, টি-শার্ট ও ওয়ার্কওয়্যারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্ডার এসেছে।
মূল্য প্রতিযোগিতা:
বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম, যা যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে।
নতুন বাজারমুখিতা:
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরেও মার্কিন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কৌশলগত পরিবর্তন এবং গুণগত মান উন্নয়ন ভূমিকা রেখেছে।
ডলার স্থিতিশীলতা:
টাকার বিপরীতে ডলারের মান কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় রপ্তানিকারকরা লাভজনক অবস্থানে আছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে এই রপ্তানি বৃদ্ধি শুধু বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহকেই নয়, বরং শ্রম বাজার ও উৎপাদন খাতেও নতুন গতিসঞ্চার করবে। এতে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পজিটিভ প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্লেষকেরা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “এই বৃদ্ধির ধারাকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে হবে।”