০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেঘালয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় কারফিউ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা, যা অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তবর্তী অপরাধ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলস জেলার প্রশাসনিক প্রধান এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত ৮ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এটি আগামী দুই মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন সীমান্তবর্তী এলাকায় চলাচল করতে পারবে না, বিশেষ অনুমতি ছাড়া।

তিনি জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, অবৈধ মাদক ও মালপত্র পাচার বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

কারফিউটি বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত মেঘালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জারি করা হয়েছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপারের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছিল।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) জানিয়েছে, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে যাতে সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন, বিশেষত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পটভূমিতে এই সিদ্ধান্ত আরও বৃহৎ নিরাপত্তা কৌশলের অংশ হতে পারে। পাশাপাশি, এটি স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে, এবং কোনো ধরনের গুজব বা উসকানিমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

📰 হাদিস কেন প্রয়োজন – ইসলামি জীবনে এর গুরুত্ব

মেঘালয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় কারফিউ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই মাসের জন্য রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা, যা অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তবর্তী অপরাধ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলস জেলার প্রশাসনিক প্রধান এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত ৮ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এটি আগামী দুই মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন সীমান্তবর্তী এলাকায় চলাচল করতে পারবে না, বিশেষ অনুমতি ছাড়া।

তিনি জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, অবৈধ মাদক ও মালপত্র পাচার বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

কারফিউটি বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত মেঘালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জারি করা হয়েছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপারের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছিল।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) জানিয়েছে, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে যাতে সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন, বিশেষত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পটভূমিতে এই সিদ্ধান্ত আরও বৃহৎ নিরাপত্তা কৌশলের অংশ হতে পারে। পাশাপাশি, এটি স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে, এবং কোনো ধরনের গুজব বা উসকানিমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।